BJP-’র রাজ্য সভাপতি হিসেবে সুকান্তেই ফের আস্থা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের, বুঝতে পেরেই বিয়ের পিঁড়িতে বসার সিদ্ধান্ত দিলীপের?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: গোয়েন্দা কীভাবে মগজাস্ত্র ব্যবহার করে অপরাধীকে ধরছেন, সেটাই হয়ে উঠে পাঠকদের কাছে আকর্ষণ। পাঠকদের মনে চলতে থাকে, একটাই প্রশ্ন ‘হু ডান ইট’। রাজ্য বিজেপি-র নতুন সভাপতির নাম ঘিরে কার্যত এমনই এক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কে হতে চলেছেন পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বিরোধীদলের রাজ্য সভাপতি। চলছে নানা জল্পনা। একাধিক নাম ঘুরছে রাজনীতির অলিন্দে।
সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহের মধ্যেই কেন্দ্রের পাশাপাশি আরও প্রায় সাতটি রাজ্যের সভাপতি নাম ঘোষণা করতে পারে বিজেপি। তবে এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ আছে কিনা তা এখনও চূড়ান্ত নয়। আপাতত ১৫টি রাজ্যের সভাপতির নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। সূত্রের খবর, রাজ্য সভাপতিদের নাম চূড়ান্ত হওয়ার পরেই সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বঙ্গ বিজেপি’র রাজ্য সভাপতির নাম একপ্রকার চূড়ান্ত হয়ে গেছে। শুধু ঘোষণার অপেক্ষা। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে এখনই নাম প্রকাশ্যে আনতে নারাজ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। জেলা সভাপতিদের নাম ঘোষণার পরই গোষ্ঠীকোন্দল রাস্তায় নেমে এসেছে। এর মধ্যে রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষণা করলে আগুনে ঘৃতাহুতি পড়তে পারে। তাই ধিরে চলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিজেপিতে ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’-র নিয়ম। কোনও ব্যক্তি একসঙ্গে দুটি পদে থাকতে পারেন না। লোকসভা নির্বাচনের পর কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী করা হয় জেপি নাড্ডাকে। ফলে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির পদ ছাড়তে হবে তাঁকে। তাঁর পরিবর্তে কে সভাপতি হবেন, এই জল্পনা চলছে দীর্ঘদিন ধরেই। কিন্তু বিশেষ সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে সুকান্ত মজুমদারকেই ফের রাজ্য সভাপতি হিসেবে সিলমোহর দিয়ে দিয়েছে বিজেপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সে ক্ষেত্রে তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদ থেকে সম্ভবত ইস্তফা দিতে হবে।
তাঁকে ফের রাজ্যসভাপতি হিসেবে নির্বাচন করার যুক্তি হল, বঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের আর এক বছর বাকি নেই। এই সময় নতুন কাউকে দায়িত্ব দিলে তিনি সামলে উঠতে পারবেন না। গোষ্ঠী দ্বন্দ্বও আরওি প্রবল হয়ে ওঠার সম্ভাবনা। শুভেন্দুকে বিজেপি’র আদিরা কেউ মেনে নিতে চাইবে না। ফলে এই বিতর্ক এড়িয়ে যেতে চাইছে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সমর্থকরা ভেবে ছিলেন, হয়তো তাঁর উপর ফের আস্থা রাখবেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কিন্তু সেটা সম্ভবত হয়নি। দলের অনেকে মনে করছেন, বিষয়টা আঁচ করতে পেরেই দিলীপ বিয়ের পিঁড়িতে বসার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। অনেকেই তাঁকে নিরস্ত করার চেষ্টা করলেও সফল হননি।