পহেলগাঁয়ের জঙ্গি হানার পর পর্যটন ব্যবসায় ধাক্কা, চিন্তায় ভ্রমণ সংস্থাগুলি

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাঙালিদের গরমের মরসুমে স্বাভাবিক গন্তব্য পাহাড়। কম টাকা থাকলে দার্জিলিং। আর বাজেট বেশি হলে কাশ্মীর। এ বছরও গরমের ছুটিতে কাশ্মীর বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল বহু কলকাতাবাসীর। কিন্তু মঙ্গলবার কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হানার পরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আর পর্যটকেদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া সে আতঙ্কের আঁচ গিয়ে পড়েছে বিভিন্ন ভ্রমণ সংস্থার কর্তাদের উপরেও।
লকডাউনের এবং সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল হওয়ায় পর আবারও ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল কাশ্মীরের পর্যটন৷ সেখানকার ব্যবসায়ীরা তো লাভের মুখ দেখছিলেনই৷ পাশাপাশি অন্যান্য জায়গার পর্যটন সংস্থাগুলোও কাশ্মীরে ট্যুর প্ল্যান করে লাভ করছিল৷ কিন্তু মঙ্গলবার পহেলগাঁও-এর জঙ্গি হামলা কাশ্মীরের পর্যটনকে একেবারে খাদের কিনারায় এনে ফেলল৷ একই সঙ্গে ক্ষতির সম্মুখীন দেশ-বিদেশের পর্যটন ব্যবসায়ীরাও৷
ট্রাভেল এজেন্ট ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার কর্তা অনিল পাঞ্জাবি বলেন, আমাদের কাছে ট্যুর বাতিলের যে আবেদন আসছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, আগামী তিন থেকে ছয় মাস কেউ পহেলগাঁও বা সংলগ্ন অঞ্চলে যেতে রাজি হচ্ছেন না। ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব ট্যুর অপারেটরসের কর্তা দেবজিৎ দত্ত বলেন, মঙ্গলবার ঘটনার দিনেই কাশ্মীরে পৌঁছেছেন কলকাতার এক বাসিন্দা। তিনি আমায় ফোন করে বললেন, দু’দিনের মধ্যে আমাদের ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন। আবার পাঁচ-ছ জনের একটি পরিবার বুধবার সকালেই ফোন করে জানিয়ে দিলেন, তাঁরা মে মাসে কাশ্মীর ঘোরা বাতিল করছেন। বেঙ্গল ট্যুরিজম ফেস্টের অন্যতম আয়োজক সমর ঘোষ বলেন, কাশ্মীর ট্যুর বাতিল নিয়ে যেভাবে আমাদের কাছে আবেদন আসছে, তাতে আগামী দিনে বড়সড় ক্ষতি বলেই আমরা মনে করছি।
পর্যটন সংস্থার কর্তারা বলছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পর্যটকদের কাছে অন্যতম গন্তব্য কাশ্মীর। ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মায়ানমার, সিঙ্গাপুর থাইল্যান্ডের প্রচুর পর্যটক কাশ্মীর ভ্রমণ পছন্দ করেন। সেক্ষেত্রে পহেলগাঁওয়ের ঘটনা আন্তর্জাতিক পরিসরেও পর্যটন ব্যবসায় বড় ধাক্কা দিল।
কুন্ডু স্পেশালের তরফে সৌমিত্র কুন্ডু জানালেন, বৃহস্পতিবার তাঁদের একটি কাশ্মীর ট্যুর ছিল। সেটি বাতিল করা হয়েছে। মে মাসেও কয়েকটি কাশ্মীর ট্যুরের বুকিং রয়েছে। পরিস্থিতি বিচার করে তা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানালেন তিনি। সৌমিত্রবাবু বলেন, ‘‘মে মাসের ১৫ তারিখের পরে আমরা পরের পরিকল্পনা করব। দেখা যাক, এর মধ্যে পরিস্থিতি যদি স্বাভাবিক হয়।’’