ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে চার পুরনিগমের ভোট? আগামীকাল জানাবে কমিশন
পিছতে পারে রাজ্যের চার পুরনিগমের ভোট৷ সূত্রের খবর, কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) পরামর্শ মেনে চার থেকে ছয় সপ্তাহের জন্য ভোট পিছিয়ে দিতে পারে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission)৷ এই মুহূর্তে রাজ্যের যা কোভিড পরিস্থিতিতে (Covid cases in West Bengal) তাতে ভোট করানো যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ বলে করছে রাজনৈতিক মহল৷ একসঙ্গে প্রচুর মানুষ জড়ো হলে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা থেকেই যায়৷ বিরোধী দলগুলি প্রথম থেকেই ভোট পিছনোর পক্ষপাতী৷ সূত্রের খবর, তৃণমূলও চাইছে ভোট পিছতে৷ বল এখন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কোর্টে৷
তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর আগে মুখ্যসচিব এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা সেরে ফেলতে চান রাজ্য নির্বাচন কমিশনার৷ আগামিকাল শনিবার ভার্চুয়াল বৈঠক হবে৷ সেখানেই সম্ভবত চার পুরনিগমের ভোট পিছনোর ব্যাপারে সিলমোহর দেবে কমিশন৷ ভোট যদি চার সপ্তাহ পিছনো যায় সেক্ষেত্রে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল৷ কমিশন সূত্রে যা জানা যাচ্ছে, ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট করার ব্যাপারে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ ওই তারিখটা নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবে কমিশন৷ রাজ্য আপত্তি না জানালে সম্ভবত ওই দিনই ভোট হবে৷ তারপর আদালতকে সেই সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন কমিশনের কর্তারা৷
২২ জানুয়ারি শিলিগুড়ি, আসানসোল, চন্দননগর এবং বিধাননগরে পুরভোট৷ ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারির পর প্রচারে নেমে পড়েন প্রার্থীরা৷ কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে ভোট পিছনোর দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা৷ বৃহস্পতিবার মামলার শুনানিতে আদালত জানতে চায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন করানো উচিৎ কি না? পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর কোনও কারণে নির্বাচন স্থগিত করতে হলে কে তা করতে পারে? জবাব দিতে গিয়ে রাজ্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশনারের আইনজীবীরা একে-অপরের কোর্টে বল ঠেলাঠেলি করেন৷ কমিশনারের আইনজীবী আদালতকে জানান, দিন পিছতে হলে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে৷ অন্যদিকে রাজ্য সরকারের আইনজীবী জানান, ভোট ঘোষণা হয়ে গেলে সরকারের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন নেই৷ কমিশনের ভোট পিছোনোর ক্ষমতা আছে৷
বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট রায়দান স্থগিত রাখে৷ শুক্রবার ওই মামলার রায় জানা যায়৷ বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি অজয় কুমার মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে পুরভোট ৪ কিংবা ৬ সপ্তাহ পিছনো যায় কি না তা বিবেচনা করতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। এমনকি কমিশনকে নিজেদের সিদ্ধান্ত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মামলকারীদের জানাতেও নির্দেশ দেয় আদালত৷