তৃণমূলের পদ ছাড়লেন যশোবন্ত, তবে কি বিরোধী রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী তিনিই?
বিরোধী শিবিরের রাষ্ট্রপতি পদ প্রার্থী হতে চান না গোপালকৃষ্ণ গান্ধী। এর আগে শরদ পাওয়ার, ফারুক আবদুল্লাও বিরোধী শিবিরের প্রস্তাব ফিরিয়েছেন। এবার সেই একই পথে হাঁটলেন গান্ধীজির দৌহিত্র। এই পরিস্থিতিতেই আজ, মঙ্গলবার দিল্লিতে বৈঠকে বসছে বিরোধী দলগুলি। সেখানেই রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে নাম চূড়ান্ত হবে।
সূত্রের খবর, আজকের বৈঠকে প্রার্থী হিসেবে নাম প্রস্তাবিত হতে পারে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থ-বিদেশমন্ত্রী যশোবন্ত সিনহার নাম। যদিও তিনি এই মুহূর্তে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। সেই কারণে তাঁর প্রার্থী পদ নিয়ে আপত্তি জানাতে পারে কিছু দল। এই পরিস্থিতিতে কার নাম চূড়ান্ত হয়, তা জানতে মুখিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল।
তৃণমূল সূত্রে দাবি, ইতিমধ্যেই তাদের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বেশ কিছু অ-বিজেপি বিরোধী দল। তারা জানিয়েছে, যশোবন্ত প্রার্থী হলে তাদের আপত্তি নেই। এর ফলে বেজায় খুশি তৃণমূল শিবির। অন্য দলগুলি রাজি হলে এব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও আপত্তি জানাবেন না বলে জানা গিয়েছে। আজ বৈঠকে তৃণমূলের পক্ষে উপস্থিত থাকবেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আগামী ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ আগামী ২৯ জুন। অর্থাৎ, হাতে সময় মাত্র আটদিন। তার মধ্যে প্রার্থী স্থির করতে হবে সব পক্ষকেই।
এরমধ্যেই আজ ২১ জুন সকালে যশোবন্ত সিনহা একটি টুইট করেন। টুইটে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা তৃণমূল সহসভাপতি লিখছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলে আমায় যে সম্মান দিয়েছেন, তাঁর প্রতি আমি চিরকৃতজ্ঞ। কিন্তু এখন সময় এসেছে, দেশের জন্য বৃহত্তর স্বার্থে বিরোধী ঐক্যের কারণে আমার উচিত দল থেকে সরে যাওয়া। আমি নিশ্চিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার এই সিদ্ধান্তে সম্মতি জানাবেন।”
শরদ পাওয়ার, ফারুক আব্দুল্লা এবং গোপালকৃষ্ণ গান্ধী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের প্রার্থী হতে অসম্মত হওয়ায়, যশোবন্ত সিনহার নাম ঘিরে জল্পনা শুরু হয়। দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী এখন তৃণমূল সহসভাপতি। তাঁর এই টুইট প্রমাণ করে, বিরোধীদের সর্বসম্মতিক্রমে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে পদপ্রার্থী হতে তাঁর কোন আপত্তি নেই। এখন কেবল বিরোধী দলগুলোর সম্মতির অপেক্ষা। তাঁদের সম্মতি মিললেই আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের পদপ্রার্থী হবেন যশোবন্ত সিনহা।