দেশ বিভাগে ফিরে যান

চীনা সোশ্যাল মিডিয়া ডিলিট করলেন মোদী

July 2, 2020 | 2 min read

২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম চিন সফরের আগে চিনের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ওয়েইবোতে অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। চীনা ভাষায় পোস্টও করেছিলেন। কিন্তু পূর্ব লাদাখের অশান্তির পর বদলে গিয়েছে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সমীকরণ। আর তাই, ৫৯টি চীনা অ্যাপ্লিকেশন নিরাপত্তাজনিত কারণে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পরদিনই ওয়েইবো অ্যাকাউন্ট থেকে সাইন আউট করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওয়েইবো থেকে মোদীর ১১৩টি পোস্ট মুছে দেওয়া হলেও ডিলিট করা যায়নি তাঁর দুটি পোস্ট, যার মধ্যে রয়েছে মোদীর সঙ্গে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের একটি ছবিও৷ সরকারি সূত্রের খবর, চীনা প্রেসিডেন্টের ছবি থাকার কারণেই সম্ভবত পোস্ট ডিলিট করার অনুমতি দিচ্ছে না চীনা অ্যাপ।

ওয়েইবোতে মোদীর ফলোয়ার সংখ্যা ছিলো ২,৪৪,০০০৷ ২০১৫ সালে এই অ্যাপ্লিকেশন সাবস্ক্রাইব করার সময় থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতিবছর ১৫ জুন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে তাঁর জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান৷ এই বছর তিনি সেই শুভেচ্ছা জানাননি৷ এর মধ্যে আবার চীনা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ উইচ্যাটে ভারতীয় দূতাবাসের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে ভারতের সরকারি তিনটি বক্তব্য বেমালুম উড়িয়ে দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে তিক্ত সম্পর্ক এবং নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে মোদীর সাইন আউটের সিদ্ধান্ত। যদিও, সরকারি সূত্রে দাবি, মোদীর পোস্ট ডিলিটের অনুমতি দিতে দেরি করেছে ওয়েইবো কর্তৃপক্ষ৷

এসবের মাঝেই জল্পনা তৈরি হয়েছে চীনা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন টিকটককে নিয়ে৷ ভারত সরকারের তরফে ৫৯টি চীনা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন নিষিদ্ধ ঘোষণার পর টিকটক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, ভারত সরকারের নির্দেশ তাঁরা মেনে চলবেন। সূত্রের খবর, এর পরও টিকটক কর্তৃপক্ষ আইনি রাস্তা খোঁজার চেষ্টা চালিয়েছে৷ বুধবার শীর্ষ আদালতের বিশিষ্ট আইনজীবী মুকুল রোহতাগি জানান, টিকটকের তরফে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে তাদের হয়ে মামলা লড়ার জন্য৷ প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল রোহতাগি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। এর পরেই জল্পনা শুরু হয়, তাহলে কি কোনও স্বনামধন্য বিশিষ্ট আইনজীবীর মাধ্যমে শীর্ষ আদালতে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চলেছে টিকটক? মুকুল রোহাতগি প্রত্যাখ্যান করার কিছুক্ষণের মধ্যেই অপর বর্ষীয়ান আইনজীবী ও কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ অভিষেক মনু সিংভি জানান, তিনিও টিকটকের হয়ে মামলা লড়বেন না৷ এর আগে শীর্ষ আদালতে টিকটকের হয়ে একটি মামলা করে জয়ী হয়েছিলেন সিংভি৷ তারপরেও তাঁর এই সিদ্ধান্ত৷ ভারতের টিকটক নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। বিদেশ সচিব মাইক পম্পেয়োর কথায়, ‘জাতীয় নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি।’

একটা সময়ে টিকটকে যথেষ্ট সক্রিয় তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান বুধবার জানান, ‘টিকটক মনোরঞ্জন অ্যাপ্লিকেশন৷ কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে আমার কিছু বলার নেই, কারণ এর সঙ্গে দেশের নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িত৷ কিন্তু টিকটকের সঙ্গে জড়িত যে লোকেরা কর্মহীন হবেন তাদের কী হবে? তাঁদের কি নোটবন্দির মত দুর্দশা সহ্য করতে হবে?’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Narendra Modi, #chinese social media weibo

আরো দেখুন