মোদীর রাজ্যে পরোটায় ১৮ শতাংশ জিএসটি, কটাক্ষ বিরোধীদের
গুজরাতের অ্যাপিলেট অথরিটি অব অ্যাডভান্স রুলিং (জিএএএআর)-এর সাম্প্রতিক রায় ইঙ্গিত করছে যেকোনও ধরনের প্যাকেটজাত বা ফ্রোজেন পরোটার উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি দিতে হবে। জিএএএআর সাফ জানিয়েছে, মূল উপাদান এক হলেও রুটি ও পরোটার মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে,তাই প্যাকেটজাত রুটির জন্য দিতে হবে মাত্র ৫ শতাংশ। অ্যাপিলেট এই রায় দিয়েছে আমেদাবাদের কোম্পানি তরফে দায়ের করা আর্জির প্রেক্ষিতে। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে এই একই নির্দেশ দিয়েছিল গুজরাত অ্যাপিলেটের আমেদাবাদ বেঞ্চ।
আমেদাবাদের ভাদিলাল ইন্ডাস্ট্রিজের মালাবার পরোটা, মিক্সড ভেজিটেবল পরোটা, ওনিয়ন পরোটা, মেথি পরোটা, আলু পরোটা, লাচ্ছা পরোটা, মুলোর পরোটা সহ বিভিন্ন ধরনের ‘রেডি টু কুক’ পরোটার সম্ভার রয়েছে। এই সংস্থা আর্জিতে সওয়াল করে রুটি ও পরোটার মূল উপাদান আটা। পাশাপাশি, এগুলি তৈরি করার প্রক্রিয়া এবং খাওয়ার ধরনও প্রায় এক। তাই পরোটা ও রুটি দুটোতেই ৫ শতাংশ জিএসটি চাপানো উচিত।
অ্যাপিলেট পুরনো রায়কে বহাল রেখেই জানিয়ে দেয়, ওই সংস্থা যে পরোটা তৈরি করে তাতে ৩৬ থেকে ৬২ শতাংশ পর্যন্ত আটার পাশাপাশি আলু, মুলো, পেঁয়াজ, জল, ভেজিটেবল অয়েল ও নুন থাকে। পাশাপাশি, পরোটাকে খাওয়ার যোগ্য করে তুলতে ৩-৪ মিনিট ভাজতে হয়। উল্টোদিকে, শুধু আটা আর জল থাকে রুটিতে।
গত জুলাইয়ে দেশে জিএসটি চালুর ৫ বছর পূর্তি হয়েছে। করের কাঠামো নিয়ে এখনও মাঝেমধ্যেই খবরের শিরোনামে উঠে আসে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও সরকারের মধ্যে মতানৈক্য। অতীতে প্রচুর জলঘোলা হয়েছে মারিকো’র প্যারাশ্যুট চুলের তেল নাকি নিছক নারকেল তেল, ফ্রাইয়াম পাঁপড় নাকি চিপস, নেসলের কিটক্যাট বিস্কুট নাকি চকোলেট, ডাবরের লাল পেস্ট দাঁতের মাজন নাকি ওষুধ ইত্যাদি নিয়ে।