পঞ্চায়েতে ধাক্কা: বঙ্গে ‘লোকসভা প্রবাস’ রিপোর্ট নাড্ডাদের আতশ কাঁচের তলায়
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফল দেখে কার্যত হতাশ বিজেপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। শুরু হয়েছে দোষারোপের পালা। লোকসভা নির্বাচনের আগে পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফল চিন্তায় ফেলেছে জেপি নাড্ডা, অমিত শাহদের। যে উত্তরবঙ্গকে তারা পাখির চোখ করেছে, সেখানেও তাদের আশাহত হতে হয়েছে। সন্ত্রাসের বুলি আওড়ানো স্রেফ সাংগঠনিক দুর্বলতা ঢাকার কৌশল তা একপ্রকারে মেনে নিচ্ছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এই পরিস্থিতিতে লোকসভা প্রবাস কর্মসূচিতে বঙ্গে যাওয়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের রিপোর্টও ঘাটতে শুরু করেছে। স্মৃতি ইরানি, ধর্মেন্দ্র প্রধান, উমা ভারতী, অনুরাগ সিং ঠাকুর, গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতের মতো দলের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতামন্ত্রীকে বিভিন্ন পর্যায়ে বাংলায় পাঠিয়েছেন নাড্ডা। এবার তাঁদের রিপোর্টেও কতটা জল মেশানো হয়েছে, তা খুঁজে দেখতে চাইছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।
আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে গোটা দেশের ১৮০টি কেন্দ্রকে ‘দুর্বল’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিজেপি। এর মধ্যে বাংলায় রয়েছে ২৪টি আসন। বুধবার নয়াদিল্লির দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘লোকসভা প্রবাস’ কর্মসূচি নিয়ে জরুরি পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন নাড্ডা। সংশ্লিষ্ট কর্মসূচির দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সেখানে উপস্থিত ছিলেন। রাজনৈতিক সূত্রের খবর, বৈঠকে সারা দেশের বিভিন্ন দুর্বল লোকসভা আসন নিয়ে বিজেপি সভাপতি খোঁজখবর নিয়েছেন ঠিকই। তবে এদিনের বৈঠকে তাঁর অন্যতম প্রধান ফোকাস ছিল বাংলার উপরই। অবশ্য বঙ্গ বিজেপির কোনও নেতা বুধবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না বলেই খবর।
দুর্বল লোকসভা আসনগুলিতে জনসংযোগ বৃদ্ধি করা এবং সেগুলির প্রকৃত সাংগঠনিক হালহকিকত সম্পর্কে তথ্য পেতেই কেন্দ্রীয় নেতা-মন্ত্রীদের সেখানে পাঠিয়েছিলেন বিজেপি সভাপতি। বিজেপির অন্দরের খবর, কেন্দ্রীয় নেতা-মন্ত্রীরা ‘লোকসভা প্রবাস’ কর্মসূচিতে অংশ নিলেও তা সফল করার যাবতীয় ভার থাকে সংশ্লিষ্ট এলাকার বিজেপি নেতা-কর্মীদের উপরই। ফলে বিজেপির বঙ্গ নেতৃত্বের ভূমিকা ফের কাঠগড়ায় উঠছে। বিজেপি’র অন্দরের খবর সঠিক রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে না কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। পঞ্চায়েতের ভরাডুবির পর এই বিষয়টিকেই এবার গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বিজেপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।