কোন চাপে ট্যাব-পিসি আমদানিতে ‘লাইসেন্স প্রথা’-র সিদ্ধান্ত বদল মোদী সরকারের?

আত্মনির্ভর ভারতের ঢাক পিটিয়ে অতি সক্রিয়তায় ল্যাপটপ, পার্সোনাল কম্পিউটার, ট্যাবলেটের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল মোদী সরকার

August 6, 2023 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আত্মনির্ভর ভারতের ঢাক পিটিয়ে অতি সক্রিয়তায় ল্যাপটপ, পার্সোনাল কম্পিউটার, ট্যাবলেটের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল মোদী সরকার। কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের এক নির্দেশে বলা হয়েছিল ঐসব পণ্য আমদানি করতে হলে ‘বৈধ লাইসেন্স’ থাকতে হবে, তবেই মিলবে অনুমোদন। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সিদ্ধান্তবদল করল কেন্দ্র। শুক্রবার রাতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ডিরেক্টর জেনারেল অব ফরেন ট্রেড জানিয়েছে, আপাতত নভেম্বর মাস পর্যন্ত কোনও লাইসেন্স লাগবে না।

কেন হঠাৎ সিদ্ধান্ত বদল?

সূত্রের খবর, কেন্দ্রের আগের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয় দেশের শিল্প-বাণিজ্য মহলের একাংশ । কারণ হাজার হাজার কোটি টাকার অর্ডার বাতিল করতে হত তাদের। বছরে অন্তত ১ লক্ষ কোটি টাকার ল্যাপটপ, ভোল বদল করেকম্পিউটার, ট্যাবলেট আমদানি করা হয় ভারতে। আগের সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে অর্থনীতি সম্পূর্ণ ধ্বংস হওয়ার মতো অবস্থা হত। শিল্প-বাণিজ্য মহলের এই ক্ষোভের কারণেই রাতারাতি সিদ্ধান্ত বদল করল কেন্দ্র।

ভারতে যত আন্তর্জাতিক কোম্পানির ল্যাপটপ আসে, তার বেশিরভাগই চীন থেকে আসে। কারণ ১ আগস্ট মুকেশ আম্বানীর জিও তাদের নতুন ল্যাপটপ জিওবুক লঞ্চ করেছে। যার দাম ১৬,৪৯৯ টাকা। আর তার ঠিক পরেই ৩ আগস্ট জারী হয়েছিল কেন্দ্রের এই নিষেধাজ্ঞা। এই সমাপতন নিয়ে নেটিজেনরা নানা প্রশ্ন‌ও তুলেছিল।


লঞ্চ আর ল্যাপটপ আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা কি সমাপতন? খোঁচা সমাজমাধ্যমে

অন্যদিকে আগের সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে দেশে ল্যাপটপের দাম এক ধাক্কায় অনেকগুণ বেড়ে যেত । কারণ ভারতের উৎপাদন ও সংযুক্তিকরণের জন্য ব্যয় হবে অনেক বেশি। সেই সঙ্গে ধাক্কা খেত আমদানি বাণিজ্য এবং ইলেকট্রনিক্স সেক্টর। এই কারণে এখনই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর না করতে কেন্দ্রের কাছে দাবি জানিয়েছিল বাণিজ্য ও শিল্প সংগঠনগুলি। আর মোদী সরকারও উপলব্ধি করেছে যে তাদের এই হঠকারিতায় অর্থনীতিতে অনেক বড় মূল্য দিতে হত। তাই লাইসেন্স প্রথা আপাতত নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন অর্থনীতির কারবারিরা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen