পুজো স্পেশাল বিভাগে ফিরে যান

বাংলার দুগ্গা পুজো: জঙ্গিপুরের নায়েব বাড়িতে ৪দিন‌ই হয় বলি, কেন জানেন?

September 11, 2023 | 2 min read

জঙ্গিপুরের নায়েব বাড়িরপুজোর ৪দিন‌ই রয়েছে বলির প্রচলন

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের নায়েব বাড়ির দুর্গাপুজো ঘিরে রয়েছে বহু অলৌকিক কাহিনি। এই বনেদি বাড়িতে পুজো শুরু হয়েছিল ১৮৮৯ সালে। নিয়ম মেনে এখানে আজও পুজোয় ৩ দিন পাঁঠা ও একটি চালকুমড়ো বলি হয়। তবে তাঁর নেপথ্যে রয়েছে এক কাহিনী। এই পুজোর ভোগেও থাকে পাঁঠার মাংস।


এই বাড়িতে বলির দেওয়া হয় সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত। আজ‌ও বর্তমান এই বাড়ির পুজোর নিয়ম নিষ্ঠা।

১৮৮২ সালে অমরনাথ মুখোপাধ্যায় জঙ্গিপুরে নায়েব বাড়ি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ছিলেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নায়েব। নায়েব বাড়িতে পুজোর প্রচলন হয় ১৮৮৯ সালে। ষষ্ঠীর দিন ঘট ভরে সাজানো হত দালানবাড়ির সামনে। ষষ্ঠীতে বাড়ির বেলতলায় প্রথম পুজো হত। এই পরিবারের বিশ্বাস, বেলগাছ থেকে ব্রহ্মদৈত্য নামত বাড়িতে। তবে নায়েব বাড়ির পুজোয় প্রথমে বলিপ্রথা ছিল না। একবছর পুজোর কয়েক আগে নায়েব বাড়ির ছাদে রাখা হরিণ লাফ দিয়ে নিচে পড়ে যায়। এতেই ধারণা হয়, বলি চাইছেন দেবী। সেই থেকেই শুরু বলিপ্রথা। তাই আজ‌ও নিয়ম মেনে নায়েব বাড়িতে পুজোর দিনগুলিতে বলি দেওয়া হয়।

জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের ভোগে লুচি, পায়েস, পোলাও এবং পাঁঠার মাংস থাকে। সপ্তমীর দিন একটা, অষ্টমীর সন্ধিপুজোর সময় দুটো ও নবমীতে দুটো পাঁঠা বলির পাশাপাশি একটি চাল কুমড়ো বলি দেওয়া হয় এই বাড়িতে। এছাড়া অষ্টমী পুজোর সময় ১০৮ টি বেলপাতা, ১০৮ টি প্রদীপ ও ১০৮ টি বাতাসা দেওয়া হয়।

এছাড়া‌ও, অষ্টমীতে কুমারী পুজোর চল রয়েছে নায়েব বাড়িতে। পরিবারের সদস্য সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাচীন রীতি মেনে এখনও দশমীর দিন ঘট বির্সজনের পর বাড়ির বাইরে গামলা ভরে জল রাখা হয়। গামলার জলে দেবীর মুখ দেখতে পান তাঁরা। দশমীতে বাঁশের মাচা ঘাড়ে বিসর্জন করা হয় প্রতিমা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Nayeb bari, #West Bengal, #durga Pujo, #Jangipur

আরো দেখুন