এবার কি সংবিধান থেকে বাদ ‘socialist and secular’? INDIA-র অভিযোগে হইচই রাজনৈতিক মহলে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মঙ্গলবার নয়া সংসদ ভবনের যাত্রা ছিল নস্ট্যালজিকতায় পরিপূর্ণ। বিরোধী থেকে শাসক, উভয় দলের প্রতিনিধিরাই ঐতিহ্যপূর্ণ পুরাতন সংসদ ভবনে ভাষণ দেওয়া কালীন আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন। আর এই দিনেই সারা হল ‘ব্রহ্মা জানে গোপন কর্মটি’। বিরোধী মহাজোট INDIA-র অভিযোগ, সংবিধানের নতুন কপি থেকে চুপিসারে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে দুই প্রধান শব্দবন্ধ। ‘সোশালিস্ট’ এবং ‘সেকুলার’ শব্দদুটি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিরোধীরা।
বিরোধীজোট INDIA-র দাবি , ১৯ সেপ্টেম্বর নতুন সংসদ ভবনে সংবিধানের যে নতুন কপি দেওয়া হয়েছিল, তার প্রস্তাবনায় ‘সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দটির কোনও উল্লেখ নেই। ইস্যুটি নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। এই নিয়ে ৫দিনের এই বিশেষ অধিবেশনে লোকসভা এবং রাজ্যসভা উত্তাল হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।
বিরোধীদের আরও অভিযোগ, যে শব্দগুলি ১৯৭৬ সালে একটি সংশোধনীর পরে যুক্ত করা হয়েছিল, সেই শব্দগুলি রাখা হয়নি নতুন সংবিধানে। এটি অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। বিরোধী বিষয়টি উত্থাপন করার চেষ্টা করলেও এই বিষয়টি উত্থাপন করার সুযোগ দেওয়া হয় নি। তার মানে কি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে সুকৌশলে বদলে ফেলা হয়েছে সংবিধানের মুখবন্ধ। তাদের আশঙ্কা, আগামী দিনে হয়ত সংবিধানও পালটে ফেলতে পারে মোদী সরকার।
প্রসঙ্গত, জি-২০ সম্মেলনের আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান টুইটারে (অধুনা X-এ) G20 নৈশভোজের আমন্ত্রণে দ্রৌপদী মুর্মুকে ইন্ডিয়ার রাষ্ট্রপতি না লিখে ‘ভারতের রাষ্ট্রপতি’ হিসাবে বর্ণনা করা করেছিলেন। এছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একাধিক জায়গায় ‘INDIA’ মুছে ‘ভারত’ ব্যবহৃত হয়েছে দেশের নাম বদল নিয়ে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বিরোধীদের দাবি, ২৪শের আগে INDIA জোটের শক্তিবৃদ্ধিতে শঙ্কিত হয়ে দেশের নাম বদলে ফেলতে চাইছেন মোদী সরকার। যদিও এইবিষয়ে নিরব ছিল কেন্দ্র। আবার এর মাঝেই সংবিধান বদলে ফেলার চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘিরে নতুনকরে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে।