BJP-র এজেন্সি-রাজের বিরুদ্ধে ৩১ মার্চ ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’ র্যালি INDIA-র
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রাজনৈতিক বিরোধীদের কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। হেমন্ত সোরেন, কে কবিতা, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, একের পর এক বিরোধী নেতানেত্রীদের গ্রেপ্তার করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থারা। বিরোধীরা একজোট হয়ে অভিযোগ করছেন, লোকসভা নির্বাচনের মুখে কার্যত ‘অঘোষিত’ জরুরি অবস্থা চলছে। পরিস্থিতিতে আগামী রবিবার দিল্লির বুকে বিরাট প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে ‘ইন্ডিয়া’ জোট।
বিজেপির এজেন্সি-রাজের বিরুদ্ধে ইন্ডিয়া জোটের (INDIA Alliance) ডাকে ৩১ মার্চ রামলীলা ময়দানে ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’ মেগা র্যালি হবে। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে রামলীলা ময়দানে মেগা র্যালির অনুমতি মিলবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েইছে। উদ্যোক্তারা আশাবাদী, প্রশাসনের সহযোগিতা পাওয়া যাবে।
গত জানুয়ারিতে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে গ্রেপ্তার করেছিল ইডি। তারপর থেকে তেলেঙ্গানার বিআরএস নেত্রী কে কবিতা, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার (Arvind Kejriwal’s arrest) করা হয়েছে। কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের জোড়াফুল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র সিবিআইয়ে নজরে। বিরোধীরা কার্যত জোট বেঁধে পথে নেমেছে। বিজেপির বিরুদ্ধে লাগাতার বিক্ষোভ দেখাচ্ছে আম আদমি পার্টি। দলের নেতা-মন্ত্রী, কর্মী-সমর্থকদের অভিযোগ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। ‘ইন্ডিয়া’র দুই শরিক, কংগ্রেস ও আপ সাংবাদিক বৈঠক করে মহা র্যালি ঘোষণা করেছে। বিরোধীদের অভিযোগ, কেবল অরবিন্দ কেজরিওয়াল নয়, গোটা বিরোধী শিবিরকেই হুমকি দেওয়া হয়েছে। সকলকে কিনে নিতে চাইছে বিজেপি। ইডি-সিবিআইয়ের মতো এজেন্সিকে দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। মাথা নত করলে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৩১ মার্চ নদীয়ার ধুবুলিয়ায় মহুয়া মিত্রের হয়ে প্রচার করবেন।