জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে ডাক পেলেন না সুখেন্দুশেখর, দূরত্ব বাড়াচ্ছে তৃণমূল?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আজ, সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক। শোনা যাচ্ছে, তাতে ডাক পাননি রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। আরজিকর আবহে দলের সঙ্গে সুখেন্দুশেখর রায়ের দূরত্ব বেড়েছিল, তার জেরেই কি ডাক পেলেন না তিনি? অন্যদিকে, জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য ডাক পেয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। জেলমু্ক্তির পর অনুব্রতর বৈঠকে যোগদানের খবর বঙ্গ রাজনীতিতে অন্য মাত্রা যোগ করল।
উপ-নির্বাচনে জয়ের পর উজ্জীবিত তৃণমূল কংগ্রেস। শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতেই রাজ্য ও জাতীয় রাজনীতির পর্যালোচনা করতে বৈঠকে বসছে তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় কর্মসমিতি। সোমবার কালীঘাটের বৈঠকে থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সংসদে বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ের ঝাঁজ বাড়ানোর রণকৌশল নিয়ে আলোচনা হতে পারে বৈঠকে। সংগঠনকে চাঙ্গা করার জন্য জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে ভোকালটনিক দিতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো। জাতীয় কর্মসমিতির ২২জন সদস্য যোগ দিতে পারেন বৈঠকে। তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে ডাক পাচ্ছেন না রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। বৈঠকে যাঁরা থাকবেন, তাঁদের সবার কাছে আমন্ত্রণমূলক চিঠি পৌঁছেছে। সুখেন্দুশেখর এখনও পর্যন্ত সেই চিঠি পাননি। ফলে মনে করা হচ্ছে, জাতীয় কর্মসমিতি থেকে তিনি বাদ পড়তে চলেছেন।
সুখেন্দুশেখর রাজ্যের শাসক দলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’-র সম্পাদক ছিলেন। আরজি করের ঘটনার পর দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে দেখা যায় তাঁকে। সমাজ মাধ্যমে দলবিরোধী নানান পোস্ট করেন সুখেন্দুশেখর। সুখেন্দুশেখর যে ভূমিকা পালন করেছিলেন, তা ভাল ভাবে নেয়নি দল। তাঁকে নিয়ে কার্যত অসন্তুষ্ট ছিল তৃণমূল। দলের ঊর্ধ্বে যে কেউ নয়, তা বুঝিয়ে দিতেই কি বৈঠকে না ডাকা?