৩ হাজার সংস্কৃত পান্ডুলিপির ডিজিটাইজেশন করবে রাজ্য
বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর একসময় শাসন করতেন মল্ল রাজারা। এই মল্লরাজাদের সময় খুব বিখ্যাত হয়েছিল বিষ্ণুপুর ঘরানার ধ্রুপদী সঙ্গীত। ষোড়শ থেকে অষ্টাদশ শতকে এই মল্লরাজরা সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। এই বংশ বিখ্যাত ছিল সংস্কৃত সাহিত্যের উন্নতির জন্য। এই সম্পদ এবার তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সাহায্যে পৌঁছে যাবে গবেষকদের কাছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে বিষ্ণুপুরের বহু অপ্রকাশিত পাণ্ডুলিপি ডিজিটাইজ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই অপ্রকাশিত পাণ্ডুলিপিতে শাস্ত্র, সমাজের কথা আছে। এর মধ্যে অনেকগুলো পাম পাতায় লেখা, কিছু কাপড়ে লেখা। সারা বিশ্বের মানুষ এই পাণ্ডুলিপির বিষয়ে আকর্ষিত হবেন। ডিজিটাল ড্রাইভের ফলে বিশদে ব্যাকরণ, সাহিত্য, দর্শন, যুক্তি ও জ্যোতিষ সম্বন্ধে জানা যাবে।
তিনি বলেন, মঙ্গল কাব্য, বৈষ্ণব কাব্য সারা বিশ্বের কাছে আরও ভালো করে বাংলাকে তুলে ধরবে। এছাড়া, মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, পুণ্য ভূমি, পুণ্য তীর্থ প্রকল্পে পুরনো মন্দিরগুলোকে সংস্কার করা হবে।