বাঙালির জলখাবার – স্বাদের ভাণ্ডার
ইংলিশ জলখাবারের বাড়বাড়ন্তে কি হারিয়েই গেছে চিরাচরিত বাঙালি জলখাবার? ব্রেড, মেয়নিজ, চিজ, জুসের আড়ালে ফিকে পড়ছে লুচি-ছোলার ডালের ঔজ্জল্য? রন্ধন পারদর্শী বাঙালি জাতি নিজেদের খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছে নিজেদেরই খাবার?
এই ব্যস্ততার যুগে এই জলখাবারগুলি তৈরি করা একটু ঝক্কিপূর্ণ হলেও, ছুটির দিনে স্বাদ বদল করে ফিরিয়ে আনা যেতেই পারে বাংলার জীভে জল আনা খাবারগুলি।
একবার চটজলদি নজর বুলিয়ে নেওয়া যাক চিরাচরিত বাঙালি জলখাবারগুলির দিকে:
লুচি – ছোলার ডাল
আপাদমস্তক বাঙালির চিরাচরিত উৎসবকালীন জলখাবার। সাদা ফুলকো লুচি এবং নারকেল কোড়া দেওয়া ছোলার ডাল। জলখাবারের মধ্যে এই মেনুটি নিতান্তই কুলীন। দুর্গাপুজোর অষ্টমীই হোক বা অনুষ্ঠান বাড়ির জলখাবার – লুচি-ছোলার ডাল সবসময়ই হিট।
লুচি – সাদা আলুর তরকারি
জলখাবারের কথা হলে লুচির জুড়ি মেলা ভার। লুচিকে অপরিবর্তিত রেখে পাশের পদটি বদলে দিলেই হল। ব্যাস তৈরি একটি নতুন মেনু। আর সাদা আলুর তরকারি হলে তো কথাই নেই। গরম গরম লুচির সাথে ঘি দেওয়া সাদা আলুর তরকারি বাঙালির সবসময়ের পছন্দ। রবিবার সকালটা লুচি-সাদা আলুর তরকারি ছাড়া কেমন বেমানান লাগে।
কড়াইশুটির কচুরী – আলুর দম
শীতকালে কড়াইশুটির কচুরী অবিকল্পনীয়। আর তার সাথে ছোট আলুরদমের তরকারি হলে তো কথাই নেই। শীতের সকাল এক্কেবারে সেট। পাড়ায় পাড়ায় নানা মিষ্টির দোকানে কিংবা ঠেলায় বিক্রি হওয়া কচুরি-আলুর দমের স্বাদটাও কেমন নৈস্বর্গিক।
পরোটা ঘুগনি
পরোটা এবং ঘুগনি চিরাচরিত সকালের ভুরিভোজ। বাঙালির সকাল বেলা অফিস যাওয়ার পথেই হোক, বা বাড়ি থেকে বেরনোর আগে, পরোটা ঘুগনি একসাথেই হোক, বা আলাদা আলাদা করে, এটা অ্যাবসলিউট ফেভারিট। পূর্ব-বঙ্গীয় পেটাই পরোটা হলে তো কথাই নেই।
ডিম পাউরুটি
উপকরণগুলি ইংরেজি ব্রেকফাস্টের হলেও ডিম পাউরুটিকে বাঙালি এক্কেবারে নিজের মতো করে গড়ে পিটে নিয়েছে। এটাও বহুদিন ধরেই এক্কেবারে বাংলার নিজের, মনের কাছের খাবার, যা ঘরে ঘরে রোজ তৈরি হয়।