কৃষক আন্দোলনে চাপে হরিয়ানা সরকার, জোটসঙ্গী হারাতে পারে বিজেপি
আরও এক জোটসঙ্গী কি হাত ছেড়ে দেবে? শিরোমণি অকালি দল (Shiromani Akali Dal) থেকে লোকতান্ত্রিক পার্টি। একের পর এক আঞ্চলিক দল কৃষক আন্দোলনের জেরে ছিন্ন করেছে বিজেপির সঙ্গ। এবার সেই পথেই হরিয়ানার দুষ্যন্ত চৌতালার জননায়ক জনতা পার্টিও ( Jannayak Janta Party) হাঁটবে কি না সেই জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে।. প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে বুধবার দেখা করে দীর্ঘ বৈঠক করেন হরিয়ানার উপ মুখ্যমন্ত্রী ও সরকারের অন্যতম জোটসঙ্গী জননায়ক জনতা পার্টির নেতা দুষ্যন্ত চৌতালা।
কিন্তু কেন এই সাক্ষাৎ? দুষ্যন্ত সরাসরি কোনও মন্তব্য করেননি। মঙ্গলবার তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। ২৪ ঘন্টার মধ্যেই দেখা করলেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। কৃষি বিল (Farm Bills) নিয়ে রাজনৈতিকভাবে প্রবল চাপে মোদি সরকার। বস্তুত বিরোধীরা তো নয়ই, এখনও পর্যন্ত মোদি সরকারের পাশে কৃষক আন্দোলন নিয়ে কোনও বন্ধু দল অথবা রাজ্য সরকারও দাঁড়ায়নি। একে একে বিভিন্ন দল এনডিএ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর এখন সঙ্গে রয়েছে মাত্র কয়েকটি দল। সব মিলিয়ে ২০১৪ সালের পর থেকে ১৯টি দল এনডিএ ছেড়েছে। নীতীশ কুমার ও দুষ্যন্ত চৌতালার (Dushyant Chautala) দল এখনও জোটে আছে। এছাড়া এআইডিএমকেও সঙ্গে রয়েছে মোদি সরকারের। সেই দলও অবশ্য আসন্ন তামিলনাড়ুর ভোটের দিকে তাকিয়ে মাঝেমধ্যেই বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিচ্ছে। একদিকে শত চেষ্টা সত্ত্বেও কৃষক আন্দোলনে রাশ টানা যাচ্ছে না। সুপ্রিম কোর্টের রায় কিম্বা কমিটি গঠনের কোনও প্রভাবই পড়েনি কৃষক আন্দোলনে। মঙ্গলবারই কৃষকরা জানিয়ে দিয়েছে, তারা সুপ্রিম কোর্টের কমিটি মেনে নেবে না। কারণ কৃষকদের মতে ওই কমিটি ঘোষিতভাবে সরকারের সমর্থক। এই অবস্থায় বিজেপি ছাড়া সবথেকে চাপে পড়েছে হরিয়ানার জননায়ক জনতা পার্টি। কারণ, আদতে হরিয়ানাই এই আন্দোলনের প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। হরিয়ানার কৃষকদের যোগদান বেড়ে চলেছে। আর তাই দুষ্যন্ত চৌতালার দলের বিধায়কদের টেনশন বাড়ছে। চাপ বাড়াচ্ছেন বিধায়করা। তাঁরা একাধিকবার দু্ষ্যন্তকে বলছেন, সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিতে। কারণ, তাঁদের আশঙ্কা কৃষকরা বিজেপির সঙ্গে থাকার কারণে আগামীদিনে আর সমর্থন করবে না তাদের।
এই অবস্থায় মঙ্গলবার অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে বৈঠকের পর দুষ্যন্ত বলেছিলেন, হরিয়ানা সরকারের কোনও বিপদ নেই। গোটা পাঁচ বছর কাটাবে সরকার। রাজ্যের নানারকম উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে কথা বলতেই তিনি এসেছেন দিল্লি।
কিন্তু ২৪ ঘন্টার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করায় পুনরায় জল্পনা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, দুষ্যন্ত প্রধানমন্ত্রীকে কৃষি আইন নিয়ে তাঁর মতামত জানালেন কি না।