রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

নাবালিকা মেয়ের বিয়ে দিয়ে বিতর্কে বিজেপি নেতা

January 20, 2021 | 2 min read

 প্রতীকী চিত্র

সোমবার সন্ধ্যায় দিনহাটা-২ ব্লকের বাসিন্দা এক বিজেপি নেতা তাঁর নাবালিকা মেয়ের সঙ্গে পাশের কিষাণগঞ্জ গ্রামের এক যুবকের বিয়ে দেন বলে অভিযোগ। ওই বিজেপি নেতার এ কাজে জোর বিতর্ক ছড়িয়েছে। সেই বিতর্ক আরও উস্কে দেন দিনহাটার বিধায়ক তৃণমূল (Trinamool) নেতা উদয়ন গুহ। তিনি ফেসবুকে (Facebook) বিষয়টি তুলে ধরেন। এ নিয়ে পাল্টা বিতর্ক শুরু হয়। বিজেপি উদয়নবাবুর এমন পোস্টকে কটাক্ষ করেছে। বিজেপির বক্তব্য, উদয়নবাবু যে দলের বিধায়ক, সেই দল রাজ্যের শাসন ক্ষমতায়। কাজেই ব্যর্থতার দায় তিনিও এড়াতে পারেন না। কেন তার প্রশাসন নাবালিকার বিয়ে আটকাতে পারল না। তাছাড়া তিনি এলাকার জনপ্রতিনিধি। কেন নিজে উদ্যোগ নিয়ে ওই নাবালিকার বাড়িতে গিয়ে বিয়ে আটকালেন না।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় দিনহাটা-২ ব্লকের আবুতারার বাসিন্দা ওই বিজেপি নেতার নাবালিকা মেয়ের সঙ্গে পাশের গ্রামের যুবকের বিয়ে (Marriage) হয়। পেশায় প্রান্তিক কৃষক ওই নেতার নাবালিকা মেয়ের বিয়ের কথা জানতে পেরে সেখানে পৌঁছন প্রশাসনের আধিকারিকরা। কিন্তু তাঁরা পৌঁছনোর আগেই বিয়ে হয়ে যায়।

ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাপ্তবয়স্ক হতে ওই নাবালিকার মাস দু’য়েক বাকি আছে। আগেই বিয়ে হয়ে যাওয়ায় নাবালিকার পরিবার প্রশাসনের কাছে রাতেই মুচলেকা দেয়। প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত জামাই ও মেয়ে নিজেদের বাড়িতেই থাকবে বলে ওই বিজেপি নেতা লিখিত দেন। উদয়ন গুহ বলেন, প্রশাসনের গাফিলতিতে সোমবার ওই বিজেপি নেতার নাবালিকা মেয়ের বিয়ে হয়। সেটাই ফেসবুকে লিখেছি। প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। বিজেপির ২৭ নম্বর মণ্ডলের সম্পাদক সুশান্ত বর্মন বলেন, দলের ওই নেতার মেয়ের দু’মাস কম রয়েছে সাবালিকা হতে। তাঁর তিন মেয়ে। মানুষ উদয়নবাবুকে ভোট দিয়ে বিধায়ক করেছেন। কিন্তু তিনি মানুষের পাশে না থেকে শহরে বসে শুধু ফেসবুকে পোস্ট করেন।

বিজেপির (BJP) জেলা সাধারণ সম্পাদক সুদেব কর্মকার বলেন, যদি এমন ঘটনা হয়েই থাকে তবে তা অবশ্যই প্রশাসনিক ব্যর্থতা। এর দায় বিধায়ক নিজে এড়ান কী করে? তিনি বিষয়টি জানার পর প্রশাসনের উপর তাঁর ভরসা না থাকলে নিজেই ওই বাড়িতে গিয়ে নাবালিকার বিয়ে আটকাতে পারতেন। তা না করে তিনি শুধু ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে দায় সেরেছেন। তাঁর বক্তব্যেই স্পষ্ট, তাঁর সরকার যে মানুষকে সচেতন করতে ব্যর্থ। এর দায় তিনিও এড়াতে পারেন না। দিনহাটা-২’র বিডিও জয়ন্ত দত্ত বলেন, বিষয়টি জানতে পেরেই ওই বাড়িতে প্রশাসনের টিম যায়। সেই টিম পৌঁছে দেখে বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তবে ওই মেয়েটি প্রাপ্তবয়স্ক হতে মাস দু’য়েক বাকি আছে। মেয়ের বাবা মুচলেকা দিয়েছেন, প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত মেয়ে তাঁর বাড়িতে থাকবে। শ্বশুরবাড়িতে পাঠাবেন না। এছাড়া কে কোথায় কী বলেছেন তা জানা নেই।

মেয়ের বাবা ওই বিজেপি নেতা বলেন, সুপাত্র পেয়েছি। তাই মেয়ের বিয়ে দিয়েছি। মেয়ের ১৮ বছর হতে যে কয়েকমাস কম সেটা মাথায় আসেনি। তবে প্রশাসন যে নির্দেশ দিয়েছে, সেটা পালন করব।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#marriage, #bjp

আরো দেখুন