রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

দুয়ারে সরকার আবেদন, কৃষকবন্ধুর আওতায় আরও ১১ লক্ষ

February 17, 2021 | 2 min read

রাজ্য সরকারের ‘কৃষকবন্ধু প্রকল্প’ (Krishak Bandhu)। যার মূল লক্ষ্য—বছরে দুই কিস্তিতে সরকারের পক্ষ থেকে কৃষকদের সুনিশ্চিত আর্থিক সহায়তা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রকল্পে এখনই রাজ্যের প্রায় ৫২ লক্ষ কৃষক আর্থিক সহায়তা পাচ্ছেন। সেই সংখ্যাটা বেড়ে গেল আরও সাড়ে ১১ লক্ষ। নেপথ্যে, মুখ্যমন্ত্রীর ‘দুয়ার সরকার’ (Duare Sarkar) কর্মসূচি। দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁরা এই রবি মরশুম থেকেই সরকারের আর্থিক সহায়তা পাবেন। সরাসরি তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে যাবে। ফলে, কৃষকদের মুখেও হাসি ফুটেছে। নতুন অন্তর্ভুক্ত কৃষকদের নিয়ে এই প্রকল্পে রাজ্যের প্রায় সাড়ে ৬৩ লক্ষ কৃষক উপকৃত হলেন।

কৃষিদপ্তর ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলার কৃষকদের কথা ভেবেই মুখ্যমন্ত্রী এই প্রকল্পটি চালু করেছিলেন। খরিফ ও রবি মরশুমে কৃষি উপকরণ কেনার সুবিধার্থে এই আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। যে কৃষকের এক একর বা তার বেশি পরিমাণ জমি রয়েছে, তিনি বছরে দু’কিস্তিতে মোট পাঁচ হাজার টাকা সহায়তা পান। যাঁর এক একরের কম জমি রয়েছে, তিনি দু’কিস্তিতে মোট দু’হাজার টাকা পান। তবে, মুখ্যমন্ত্রী বাজেট ঘোষণাতেও এই প্রকল্পের কথা মাথায় রেখেছেন। সর্বনিম্ন দু’হাজার টাকাকে বাড়িয়ে তিন হাজার এবং সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা বাড়িয়ে ছ’হাজার টাকা করেছেন। নতুন অর্থবর্ষ, অর্থাৎ এপ্রিল থেকেই এই বাড়তি টাকা পাবেন কৃষকরা।

এই আর্থিক সহায়তা ছাড়াও কৃষকবন্ধু প্রকল্পে বাংলার কৃষকদের জন্য আরও একটি বড় সুবিধা আছে। তা হল কৃষকদের মৃত্যুজনিত আর্থিক সহায়তা। কৃষকবন্ধু প্রকল্পে নথিভুক্ত ১৮-৬০ বছর বয়সি কোনও কৃষকের মৃত্যু হলে, তাঁর পরিবার এককালীন দু’লক্ষ টাকা পর্যন্ত সহায়তা পাবেন। সবচেয়ে বড় বিষয় হল, এই প্রকল্পে কৃষকদের পাশাপাশি অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন গরিব ভাগচাষিরাও। তাঁরাও মৃত্যুকালীন ক্ষতিপূরণও পাবেন। ইতিমধ্যে রাজ্যের বহু জেলায় অনেক গরিব কৃষক ও ভাগচাষির পরিবার মৃত্যুকালীন ক্ষতিপূরণও পেয়েছেন। এছাড়াও, কৃষকবন্ধু প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত কৃষকরা সহায়ক মূল্যে সরাসরি ধান বিক্রি করতে পারেন। আগে থেকে ধান ক্রয় কেন্দ্রে গিয়ে তাঁদের নাম নথিভুক্ত করতে হয় না।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে জেলায় জেলায় ১১ লক্ষ ৬৫ হাজার চাষি কৃষকবন্ধু প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছেন। কৃষিদপ্তর থেকে বেশিরভাগ আবেদনেই অনুমোদন দেওয়া হয়ে গিয়েছে। এমনকী, ওই কৃষকদের অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়ার জন্য গত ১২ ফেব্রুয়ারি নবান্ন থেকে নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে।

রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম দিন থেকে বাংলার কৃষকদের পাশে রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই দুয়ারে সরকার ক্যাম্পটি অভিনব ভাবনা। এতে অনেক কিছুর সরলীকরণ করা হয়েছে। তাই বাংলার কৃষকরাও খুব সহজেই এখানে এসে আবেদন করতে পেরেছেন। নতুন করে সাড়ে ১১ লক্ষ কৃষক অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় রাজ্যে প্রায় ৬৩ লক্ষের বেশি কৃষক এই প্রকল্পের আর্থিক সুবিধার মধ্যে চলে এলেন। মুখ্যমন্ত্রীর জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের মেন্টর মনোজ চক্রবর্তী বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের এটা বড় সাফল্য। যে কর্মচারীরা ক্যাম্পে কাজ করছেন, আমরা তাঁদেরও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Krishak Bandhu Scheme, #Duare Sarkar

আরো দেখুন