গো-বিজ্ঞান পরীক্ষা! বিতর্কের পর পিছু হঠল কেন্দ্র
গরুকে(Cow) নিয়ে সরকারি পরীক্ষা স্থগিত। কামধেনু গো বিজ্ঞান প্রচার-প্রসার পরীক্ষা স্থগিত। সমালোচনার মুখে পরীক্ষা স্থগিত রাখল রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগ(Rashtriya Kamdhenu Aayog)। ২৫ ফেব্রুয়ারি এই পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। পরীক্ষা স্থগিত হলেও পড়ুয়াদের উৎসাহ দেওয়ার বার্তা দিয়ে চিঠি। উপাচার্যদের চিঠি দিল রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগ।
২১শে ফেব্রুয়ারি ইউজিসি(UGC) সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে চিঠি দিয়ে পড়ুয়াদের পড়ুয়াদের কামধেনু গো বিজ্ঞান প্রচার প্রসার পরীক্ষায় নাম নথিভুক্তকরণের জন্যে উৎসাহিত করতে বলে। সেই পরীক্ষাই ২৫শে ফেব্রুয়ারি হওয়ার কথা ছিল। মৎস্যচাষ, পশুপালন ও দুগ্ধ উৎপাদন মন্ত্রক পরিচালনা করবে এই পরীক্ষা।
রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগের দাবি অনুযায়ী দেশ জুড়ে ৫ লক্ষ পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষার জন্যে নাম নথিভুক্ত করেছিল। কামধেনু আয়োগের ওয়েবসাইটে পরীক্ষার ৫৪ পৃষ্ঠার পাঠ্যক্রম আপলোড করা হয়েছিল ৫ই জানুয়ারি। সারা দেশে সমালোচিত হয় এই পাঠ্যক্রম।
কী রয়েছে এই পাঠ্যক্রমে?
১। গরুর দুধ, ঘি, গোবর, মূত্র দিয়ে তৈরি ওষুধ খেয়ে ৮০০ করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন।
২। গোহত্যা ভুমিকম্পের কারণ হতে পারে।
৩। ১৯৮৪ সালে ২০,০০০ মানুষ ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনায় মারা যায়। কিন্তু যাদের বাড়ির দেওয়ালে গোবরের আস্তরণ ছিল তারা প্রাণে রক্ষা পায়।
৪। দেশী গরুর দুধে হলুদ রঙের আভা থাকে কারণ এতে সোনা থাকে।