পাড়ায় পাড়ায় ব্যারিকেড গড়ছেন স্থানীয়রাই
এলাকার লোকেদের অবাধ গতিবিধি আটকাতে কোথাও কোনো রাস্তায় ব্যারিকেড দিচ্ছে পুলিশ। কোথাও আবার এলাকার বাসিন্দাদের অনুরোধ করা হচ্ছে, তো কোথাও বাসিন্দারা নিজেরাই উদোগী হয়ে ঘিরে দিচ্ছে গলির মুখ। করোনার সংক্রমণ আটকাতে শহরের বিভিন্ন জায়গায় এমনই ছবি ধরা পড়ছে।
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষের বাইরে বেরোনো আটকাতে মাইকিং চালাচ্ছে পুলিশ। মঙ্গলবারই যেমন এন্টালি এলাকার অলিগলিতে গিয়ে মাইকিং করে পুলিশ। সেখানেই বাসিন্দাদের অনুরোধ করা হয় তাঁরা নিজেরাই যেন উদ্যোগী হয়ে পাড়ার রাস্তার আটকে দেন। পুলিশ সূত্রের দাবি, আগে এই এলাকার সৈয়দ আহমেদ রোড ও ইসমাইল স্ট্রিটে থিকথিক করত ভিড়। লাগাতার প্রচার ও আইনি ব্যবস্থায় নেওয়ায় সেই ভিড় প্রায় ৫০ শতাংশ কমানো সম্ভব হয়েছে।
বউবাজারের এলাকাতেও লোকাদের অবাধ যাতায়াত আটকাতে ফিয়ার্স লেনের একটি গলি, কলুটোলা লেনে ও কলুটোলা ক্রসিংয়ের হরিণ বাড়ির সামনে ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। আবার বাঁশদ্রোণীর এইচএল সরকারি রোডের একটি গলি ঘিরে দিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। বাঁশ দিয়ে করা ব্যারিকেডে লেখা রয়েছে ‘বহিরাগতের প্রবেশ নিষিদ্ধ’। এলাকার লোকের বক্তব্য, আমার নিজেরাই চেষ্টা করছি যতটা সম্ভব কম বেরোনো যায়। সেইসঙ্গে বাইরের কেউ যাতে কেউ না ঢুকতে পারে। তাই এই ব্যবস্থা।
এপিসি রোড এর পাশে মোহনবাগান লেন, অরবিন্দ রোড এর দুই ধারে বিদুশ্রী লেন, আমতলা লেন , ডালিমতলা লেনের বাসিন্দারাও বাঁশ দিয়ে ঘিরে দিয়েছেন রাস্তা। আবার সেন্ট্রাল এভিনিউ এর পাশে তারক প্রামাণিক লেন দুটি গলিতেও একই উদ্যোগ নিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে এইসব জায়গায়তেই বহিরাগতের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হলেও এলাকার লোকজনও নিজেদের যাতায়াত কতটা নিয়ন্ত্রণ করেন সেটাও অবশ্য দেখার।