ঈদের জন্য কোভিডবিধি শিথিল কেন? কেরল সরকারকে কড়া বার্তা সুপ্রিম কোর্টের
বকরি ইদের আগে কেরল সরকার সেখানে কোভিড বিধির ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দিয়েছে। আর করোনা বিধ্বস্ত কেরলের বুকে উৎসবের আগে এই ছাড় নিয়ে এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট। ঘটনাকে ‘সরি স্টেট অফ অ্যাফেয়র্স’ বলে ব্য়াখ্যা করেছে শীর্ষ আদালত।
কেরলে (kerala) বকরি ইদের আগে একাধিক জায়গায় কোভিডের লকডাউন বিধি শিথিল করা হয়েছে। ঘটনা নিয়ে এদিন রাজ্য প্রশাসনকে কার্যত চরম তুলোধনা করে সুুপ্রিম কোর্ট (supreme court)। সমালোচনার সুরে এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে , বকরি ইদর আগে তিন দিনের জন্য কোভিড বিধিতে ছাড় দেওয়ার যে ঘটনা কেরল ঘটিয়েছে, তা অনুচিত ছিল। প্রসঙ্গত, বাম শাসিত কেরলে করোনা ছাড়াও জিকা ভাইরাসের উপদ্রব ক্রমেই বাড়ছে।
প্রসঙ্গত, কেরল সরকারের তরফে কোভিড (coronavirus) আক্রান্ত এলাকাগুলিকে বিভিন্নভাগে ভাগ করা হয়েছে। তারমধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত এলাকাকে ক্যাটেগোরি ডি এর আওতায় রাখা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এই ক্যাটেগোরি ডি এলাকায় যেভাবে একদিনের জন্য সমস্ত দোকানপাট খোলা হয়েছে তা অনভিপ্রেত। প্রসঙ্গত, এই এলকায় কোভিডে আক্রান্তের পজিটিভিটি রেট ১৫ শতাংশ।
এদিন করোনা পরিস্থিতির মাঝে জমায়েত ইস্যুতে কেরলকে বার্তা দিতে গিয়ে , সুপ্রিম কোর্ট উত্তর প্রদেশ সংক্রান্ত এক মামলার প্রসঙ্গ তোলে। সেই সূত্রে আর্টিক্যাল ২১ ও সংবিধানের ১৪১ নম্বর ধারার কথা বলে কেরলকে সচেতন করে। আদালত জানিয়েছে , কোনও ধর্মীয় বা অন্য কোনও ‘প্রেশার গ্রুপ’ এর বার্তাতেও সাধারণ মানুষের যাতে মৌলিক অধিকার খর্ব না হয়, তা দেখতে হবে।
আপাতত কেরল সরকারের নির্দেশিকার ওপর কোনও নির্দেশ দেয়নি শীর্ষ আদালত। তবে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে যে, যদি প্রশাসনের এই পদক্ষেপের জন্য কোভিড ছড়িয়ে যায়, তাহলে যেকোনও সাধারণ নাগরিকই তা শীর্ষ আদালতের গোচরে আনতে পারেন।