মঙ্গলে বাংলার ভোটার তালিকা খসড়া প্রকাশ, লিস্টে নাম না থাকলে কী করবেন?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৭:০০: মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকার খসড়া। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট এবং বিভিন্ন দপ্তরে এই তালিকা প্রকাশ করা হবে। তবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগেই ‘বিএলও অ্যাপ’ (BLO App)-এর মাধ্যমে খসড়া তালিকায় নিজেদের নাম দেখে নিতে পারবেন নাগরিকরা, এমনটাই কমিশন সূত্রে খবর।
মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকেই অনলাইন এবং অফলাইন- উভয় মাধ্যমেই সাধারণ মানুষ এই তালিকা দেখার সুযোগ পাবেন। কমিশনের তরফে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। কোথাও যাতে কোনও প্রযুক্তিগত ত্রুটি না থাকে, তা নিশ্চিত করতে দফায় দফায় চলছে যাচাই পর্ব।
কমিশন জানিয়েছে, খসড়া তালিকা প্রকাশের পর তা একাধিক উপায়ে যাচাই করা যাবে:
১. অফলাইন: দুপুরের পরেই রাজ্যের সমস্ত বিডিও (BDO) অফিসে এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার বিএলও (BLO)-দের কাছে এই তালিকা পৌঁছে যাবে। সেখান থেকে সরাসরি নাম যাচাই করা সম্ভব।
২. অনলাইন: বাড়িতে বসে নাম দেখার জন্য কমিশনের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটগুলিতে https://ceowestbengal.wb.gov.in/SIR এবং https://voters.eci.gov.in/ ক্লিক করলে পূর্ণাঙ্গ তালিকা দেখা যাবে।
৩. মোবাইল অ্যাপ: মোবাইলে ‘ECINET’ অ্যাপ ডাউনলোড করেও খুব সহজে তালিকায় নাম আছে কি না, তা জানা যাবে। এছাড়াও বিএলও অ্যাপের মাধ্যমেও নাম যাচাইয়ের সুযোগ থাকছে।
কমিশন সূত্রে খবর, যদি খসড়া তালিকায় কারও নাম না থাকে, তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। নতুন করে নাম তোলার জন্য ‘ফর্ম ৬’ (Form 6) পূরণ করে ‘Annexure-IV’-এর সঙ্গে জমা দিতে হবে। এই আবেদন অনলাইনের মাধ্যমে বা সরাসরি বুথ লেভেল আধিকারিকের (BLO) কাছে জমা দেওয়া যাবে। কমিশন সকল ভোটারকে খসড়া তালিকা প্রকাশের পর নিজেদের নাম যাচাই করে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্যে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৭ কোটি ৬৬ লক্ষ ৩৭ হাজার ৫২৯। খসড়া তালিকা তৈরির প্রক্রিয়ায় মৃত, স্থানান্তরিত, নিখোঁজ এবং একাধিক জায়গায় নাম থাকা ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও যাঁরা এনুমারেশন ফর্ম (Enumeration form) পূরণ করেননি, অর্থাৎ ভোটার হতে চাননি, তাঁদের নামও বাদ গেছে। রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, সব মিলিয়ে প্রায় ৫৮ লক্ষ ২০ হাজার ৮৯৮ জনের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। তবে যাঁরা এনুমারেশন ফর্মে শুধুমাত্র সই করে জমা দিয়েছেন, তাঁদের নামও খসড়া তালিকায় থাকার কথা।
খসড়া তালিকা প্রকাশের পর জেলাস্তরের ওয়েবসাইটগুলিতেও তা দেখা যাবে। এরপর শুরু হবে দাবি ও আপত্তির শুনানি পর্ব। শুনানিতে যাঁদের ডাকা হবে, তাঁদের নোটিস পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব থাকবে বিএলও-দের (BLO) ওপর। শুনানি পর্ব শেষ হওয়ার পরেই চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।