রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

তিন বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের খাবার বাড়িতে পাঠানো হবে: শশী পাঁজা

June 28, 2020 | 2 min read

লকডাউন উঠে যাওয়ার পর বিশেষ ব্যবস্থা নিয়ে পঠন পাঠন চালু হবে রাজ্যের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে গুলিতে। শনিবার পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট এসে এই কথাই জানালেন রাজ্যের শিশু ও নারী কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী শশী পাঁজা। তিনি বলেন, “লকডাউন মিটে যাওয়ার পর রাজ্যের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র চালু হলে তিন বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের খাবার বাড়িতে পাঠানো হবে। তিন বছরের বেশি থেকে ছয় বছর বয়সী শিশুদের সামাজিক দূরত্ব মেনে কেন্দ্রে খাবার দেওয়ার বিয়টি নিয়ে ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে’’।

মঙ্গলকোটের মাজিগ্রামে রয়েছে শাকম্বরী দেবীর মন্দির। গ্রামবাসী ও মন্ত্রী শশী পাঁজার দেওয়ার অর্থ মিলিয়ে ১২ লক্ষ টাকায় ওই মন্দিরটির পুনর্নিমাণ করা হয়েছে বলে বাসিন্দারা জানান। এদিন শ্বশুর বাড়ি কুলের আরাধ্য দেবীর মন্দিরের দ্বারদঘাটন অনুষ্ঠানে যোগ দেন মন্ত্রী শশী পাঁজা। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের অপর মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। দুই মন্ত্রী শাকম্বরী দেবীর মন্দিরে পুজো দেন।

মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, দেবী শাকম্বিরী এই মন্দিরে মহিষমর্দিনী রুপে প্রতিষ্ঠিতা। এই দেবীর হাতে কোনও অস্ত্র থাকে না। এমন দেবী মূর্তি সারা ভারতের মধ্যে একমাত্র ত্রিপুরা ও মাজিগ্রামে রয়েছে। স্বপন দেবনাথ জানান, শশী পাঁজার শ্বশুর বাড়ি পরিবারের আদি নিবাস মাজিগ্রামে। এদিন শ্বশুর বাড়ি কুলের আরাধ্য দেবী মন্দিরে তিনি পুজো দিয়েছেন।

পুজোর পর সংবাদ মাধ্যমকে শশী পাঁজা বলেন, রাজ্যে ১ লাখ ১৬ হাজারের বেশি অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্র রয়েছে। লকডাউনে কেন্দ্র গুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ কারণে লকডাউনে শিশু,গর্ভবতী ও প্রসূতিদের কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

বর্তমানে ৩১ জুলাই পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। শশী পাঁজা আরও জানান, লকডাউন উঠেগেলে আইসিডিএস কেন্দ্র গুলি খোলার আগে জীবাণু মুক্ত করা হবে। পড়ুয়াদের মধ্যে মাস্ক বিলি করা হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে কেন্দ্র গুলি পরিচালনার জন্য বিশেষ নজরদারি চালানো হবে। আমপানে ক্ষতিগ্রস্ত আইসিডিএস কেন্দ্র মেরামতির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#ICDS, #Shashi Panja

আরো দেখুন