রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

পুরভোটে রাজ্য সরকারের আপত্তি নেই, জানাল রাজ্য নির্বাচন কমিশন

December 17, 2020 | 2 min read

কলকাতা পুরসভার ভোট করতে রাজ্য সরকারের কোনও আপত্তি নেই। সংশোধিত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পরে ভোট প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission)।

হলফনামায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সংশোধিত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হওয়ার কথা ১৫ জানুয়ারি। তার ভিত্তিতে ওয়ার্ড বিন্যাসের কাজ করতে হবে। স্বাভাবিক সময়ে সেই কাজ করতে সাত-দশদিন সময় লাগার কথা। কিন্তু কোভিড অতিমারির কারণে পরিস্থিতি এখন ভিন্ন। চলতি পরিস্থিতির কারণেই সর্বাধিক এক হাজার ভোটারের জন্য একটি ভোটকেন্দ্র স্থির করে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। বিহার বিধানসভা এবং বেশ কয়েকটি উপনির্বাচনের প্রস্তুতিতে এই পদ্ধতিই মেনেছিল কমিশন। ফলে একই পদ্ধতিতেই কলকাতা পুরসভার (Kolkata municipality) ভোটের প্রস্তুতি নিতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। 

এই মুহূর্তে কলকাতা পুর-এলাকায় ৪৬৯১টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে এবং ভোটারের সংখ্যা ৪১ লক্ষ ৩৯ হাজার ৮৩১ জন। কমিশন-কর্তাদের দাবি, সংশোধিত ভোটার তালিকা প্রকাশের পরে কোভিডের সুরক্ষাবিধি মেনে বুথ বিন্যাস এবং প্রস্তুতি আরও বাড়াতে হবে। ফলে নতুন অনেক ভোটকেন্দ্র চিহ্নিত করতে হবে, যেগুলিতে সুষ্ঠু ভাবে ভোট করানো সম্ভব। ফলে সাত-দশ দিনের মধ্যে এই কাজ করা বেশ কঠিন। তাই এই প্রস্তুতির জন্য আরও চার সপ্তাহ সময় ধরে রাখতে চাইছে কমিশন। তার পরেই কলকাতা পুরভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হবে।

বস্তুত, গত সোমবারই রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর জানিয়েছে, সংশোধিত ভোটার তালিকা প্রকাশ এবং ওয়ার্ড বিন্যাস প্রক্রিয়ার (অ্যাডপশন) পরে চার থেকে ছ’সপ্তাহের মধ্যে কোভিড অতিমারিতে জনস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে কলকাতা পুরসভার ভোট করানো যেতে পারে।

পর্যবেক্ষক শিবিরের ধারণা, এই বিপুল প্রস্তুতি শেষ করে মার্চের মাঝামাঝির আগে ভোট করানো বেশ কঠিন। আবার সব কিছু সময় মতো চললে, তত দিনে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে দেওয়ার কথা জাতীয় নির্বাচন কমিশনের। প্রবীণ আমলাদের অনেকেই জানাচ্ছেন, সেই পরিস্থিতিতে পুর-ভোট করাতে সাংবিধানিক ভাবে কোনও বাধা নেই। কিন্তু বিপুল ওই কর্মকাণ্ড সামলে তখন ভোট করানো যে কঠিন, তা মানছে সংশ্লিষ্ট শিবির।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#kolkata municipality, #State Election Commission

আরো দেখুন