বাংলাদেশি নায়িকা শিমুকে খুনের কথা স্বীকার স্বামী নোবেলের

January 19, 2022 | 2 min read

সোমবার দুপুরে ঢাকা কেরানিগঞ্জের হজরতপুর ব্রিজের কাছে রাস্তার ধার থেকে উদ্ধার হয় অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর দেহ। তারপর এই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। শিমু’র (Raima Islam Shimu) স্বামী খন্দকার শাখাওয়াত আলীম নোবেলকে প্রধান অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেছেন অভিনেত্রীর ভাই শহিদুল ইসলাম খোকন। এবার স্ত্রীকে হত্যা করার কথা প্রাথমিকভাবে কবুল করে নিল স্বামী খন্দকার শাখাওয়াত আলীম নোবেল, এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, শিমুকে খুন করে তাঁর লাশ গুম করেন তাঁর স্বামী নোবেল। তাঁকে এই কাজে সাহায্য করেন তাঁর বন্ধু ফারহাদ, পুলিশ সূত্রে এমন তথ্যই মিলেছে। জানা যাচ্ছে, দাম্পত্য কলহের জেরেই এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন শিমুর স্বামী নোবেল। মঙ্গলবার জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদিক সম্মেলন একথা জানান ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন সরদার।

কেরানিগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক কাজী রমজানুল হক বাংলাদেশের জনৈক সংবাদ পত্রিকাকে বলেন, ‘দেহটি টুকরো করে দুটি বস্তায় ভরে ফেলে রাখা হয়। স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত শিমুর গলায় একটি দাগ রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

জানা যাচ্ছে, রবিবার সকাল সাতটা থেকে আটটার মধ্যে হত্যা করা হয় অভিনেত্রীর শিমুর। অভিনেত্রীকে হত্যার পর যে গাড়ি করে তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তাঁর মরদেহ গুম করার জন্যে সেটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। কাজী হায়াতের ‘বর্তমান’ ছবির মাধ্যমে শিমু অভিনয় কেরিয়ার শুরু। পরে দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, চাষি নজরুল ইসলাম, শরিফ উদ্দিন খান দিপু সহ আরও বেশ কয়েকজন পরিচালকের সিনেমায় কাজ করেন। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত প্রায় ২৫ টির মতো সিনেমায় অভিনয় করেন শিমু। ৫০ টিরও বেশি নাটকে কাজ করেছেন তিনি। এছাড়াও শিমু (Raima Islam Shimu) বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্য ছিলেন।

বেশ কয়েক বছর ধরে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের মার্কেটিং বিভাগে কর্মরত ছিলেন শিমু (Raima Islam Shimu) ।এছাড়াও তাঁর নিজস্ব প্রোডাকশন হাউস ছিল।

#Bangladesh, #Raima Islam Shimu