লজ্জা! ভারতীয় বোলাদের নিয়ে ছেলেখেলা করে ফাইনালে ইংল্যান্ড
সেমিফাইনালে শেষ হল ভারতের টি-টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড কাপ যাত্রা। রবিবারের মেলবোর্ন দেখবে পাক-ইংল্যান্ড দ্বৈরথ। আজ অ্যাডলেডে টি-টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-ইংল্যান্ড। টসে জিতে রোহিতদের ব্যাট করতে পাঠায় বাটলাররা। বিরাটের হাফসেঞ্চুরি ও হার্দিকের ঝোড়ো ইনিংসে ভর করে ইংল্যান্ডের সামনে জয়ের জন্যে ১৬৯ রানের লক্ষ্য রেখেছিল ভারত। প্রথম থেকেই ইংল্যান্ডের ওপেনাররা দুরন্ত ব্যাট করতে আরম্ভ করেন। ভারতীয় বোলারদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করলেন দুই ইংলিশ ওপেনার। ১০ উইকেটে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে ইংল্যান্ড।
এদিন ক্রিস ওকসের বলে দ্বিতীয় ওভারেই ফেরেন ভারতীয় ওপেনার কেএল রাহুল। ব্যক্তিগত ৫ রানে উইকেটরক্ষক বাটলারের তালু বন্দি হন রাহুল। এরপরেই নামেন কিং কোহলি। ৫ ওভার শেষে ভারতের স্কোর হয় ৩১/১। ২৭ রান করে ফিরে যান ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ২৮ বলে ২৭ রান করেন তিনি। ক্রিস জর্ডনের বলে স্যাম কারেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন তিনি। টি-২০ বিশ্বকাপে দুরন্ত ফর্মে থাকা সূর্যকুমার যাদব আজ বেশি রান পেলেন না। ১০ বলে ১৪ রান করে আউট হন তিনি।
অ্যাডিলেডে ৩৯ বলে দুরন্ত অর্ধশতরান করেন কোহলি। সেমিফাইনাল ম্যাচেও ভারতকে কঠিন পরিস্থিতি থেকে বের করে আনলেন বিরাট। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-২০ ক্রিকেটের ৩৭তম হাফসেঞ্চুরি করলেন তিনি। এদিন আরও এক নজির গড়েন বিরাট। আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ৪,০০০ রান পূর্ণ করলেন তিনি। একটি ছক্কা ও চারটি বাউন্ডারি দিয়ে সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস। পরের বলেই আউট হন কোহলি। অন্যদিকে এদিন সংহার মূর্তিতে ব্যাট করে গেলেন হার্দিক। ৩৩ বলে ৬৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে দলের রান লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে দেন হার্দিক। চারটি চার ও পাঁচটি ওভার বাউন্ডারিতে সাজানো ছিল হার্দিকের ইনিংস। ভারতের ইনিংসের শেষ বলে হিট উইকেট হন হার্দিক। জর্ডন তিনটি উইকেট পেয়েছেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুই ইংলিশ ওপেনার, বাটলার ও হেলস প্রথম থেকেই মারমুখী ছিলেন। ৫ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর হয় বিনা উইকেটে ৫২। ২৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন অ্যালেক্স হেলস। ১০ ওভার শেষ ইংল্যান্ডের স্কোর হয় বিনা উইকেটে ৯৮। ৩৬ বলে ছক্কা হাকিয়ে হাফসেঞ্চুরি করেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক বাটলার। সারাদিন হাত ঘুরিয়েও একটি উইকেট পাননি ভারতীয় বোলাররা। চার ওভার বাকি থাকতেই প্রয়োজনীয় রান তুলে নেন বাটলাররা। ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার বাটলার ও হেলস যথাক্রমে ৮০ ও ৮৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। ম্যাচ সেরা হন অ্যালেক্স হেলস।