স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে দুর্নীতি ধরতে রাজ্যের অস্ত্র AI
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: রোগী কোনওদিন হাসপাতালে ভর্তিই হননি কিন্তু তার নামে চিকিৎসা বাবদ খরচ হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। সেই বিল জমা করা হয়েছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আওতায়। আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করে এমন কাণ্ড ঘটানো হবে, তা টের পাননি রোগী। রোগী বাড়িতে থাকলেও তাঁরই অপারেশন হয়ে গেল! এ জিনিস প্রকাশ্যে আসতেই কর্তাদের মাথায় হাত। জরিমানা করা হয়েছে সেই নার্সিংহোমকে। কিন্তু তারপর কী? আপাতত এহেন দুর্নীতিবাজ হাসপাতাল-নার্সিংহোমকে শায়েস্তা করতে রাজ্যের ‘হাতিয়ার’ আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স। জানা যাচ্ছে, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ভুয়ো রিপোর্ট এবং জাল কাগজপত্র ধরা পড়বে। হাসপাতালে রোগী ভর্তি না থাকলে, তার নামে বিল হলে সহজেই জানা যাবে। বড় ডাক্তারের নাম করে ভর্তি করিয়ে, জুনিয়র চিকিৎসককে দিয়ে অপারেশন করালে চিহ্নিত হবে এআইয়ের মাধ্যমে।
কোনও রোগী স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে ভর্তির জন্য চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র জমা দিলে অসাধু চক্র ফটোশপের সাহায্যে রোগীর কাগজে অন্য নাম বসিয়ে ফের তা জমা করে দেয় স্বাস্থ্যসাথী ব্রাঞ্চে। এআই এহেন দুর্নীতি ধরে ফেলবে। ওসিআর স্ক্যান জানিয়ে দেবে, আসল সত্য। স্বাস্থ্যসাথীর নার্সিংহোমে ত্রিমাত্রিক অবস্থান-সহ জিও কো-অর্ডিনেট ব্যবহার করা শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্যসাথী অ্যাপ রয়েছে। তাতে রোগীর ভর্তি ও ছুটির সময় এবং অপারেশনের আগে ও পরে ছবি আপলোড করতে হবে।
অভিযোগ ওঠে, বড় ডাক্তারবাবুর নামে ভর্তি করিয়ে কম অভিজ্ঞ চিকিৎসককে দিয়ে অপারেশন করানো হয়। এই ঘটনা রুখতে স্বাস্থ্যসাথীতে অপারেশন করা সরকারি প্র্যাকটিসিং ডাক্তার ও প্রাইভেট ডাক্তারদের একটি অ্যাপ দিচ্ছে রাজ্য। সেখানে লোকেশন অ্যাকসেস থাকছে। প্রায় সাড়ে সাত হাজার চিকিৎসককে অ্যাপের মাধ্যমে নজরদারির আওতায় রেখেছে সরকার। কবে, কে, কোন রোগীর অপারেশন করলেন বা করবেন, তার বিস্তারিত তথ্য থাকছে ওই অ্যাপে।