বাংলায় এখন রাজনৈতিক লড়াইটা দাঁড়িয়েছে মধ্যবিত্ত-উচ্চ-মধ্যবিত্তের সঙ্গে প্রান্তিক মানুষদের মধ্যে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাংলার বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কলকাতার এক প্রবীণ নাগরিকের (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) ভাবনা-
রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এই বয়সে এসে একটি বিশ্লেষণ না করলেই নয়। আসলে এটি মধ্যবিত্ত ও উচ্চ-মধ্যবিত্তের (যারা বেশি শিক্ষিত এবং অধিকাংশই মনেপ্রাণে বামপন্থী) বাংলার প্রান্তিক মানুষদের (যারা সংখ্যায় অধিক) সঙ্গে একটি শ্রেণীযুদ্ধ।
বাংলার শিক্ষিত ভদ্রলোকরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘৃণা করে। এই শ্রেণীর অধিকাংশই উচ্চ বেতন ভুক্ত বা পেনশন প্রাপক। যাঁরা নানাভাবে বামপন্থী ইউনিয়নগুলি থেকে উপকৃত হয়েছেন।
এই শ্রেণী আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ, বাম মনোভাবাপন্ন এবং অন্ধ মমতা বিরোধী। ৩৪ বছরের বাম শাসনের পর বিধানসভা ও সংসদে তাদের আসন শূন্যে নামিয়ে আনার জন্য তারা মমতাকে ঘৃণা করেন।
নারীরা নারীদের বিপদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে (যদিও পশ্চিমবঙ্গে এই পরিসংখ্যান অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় অনেক কম)। প্রাক্তন অধ্যক্ষকে টার্গেট করা হয়েছে এবং সম্ভবত তা সত্যিও! তবে এই আন্দোলন প্রাথমিকভাবে একটি স্বতঃস্ফূর্ত মানুষের আন্দোলন থাকলে পরে তা মিডিয়া দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পরে তা বেশ বোধগম্য। য়া এখন মমতার বিরুদ্ধে একটি সুপরিকল্পিত, সুসজ্জিত চক্রব্যূহ তৈরির প্রয়াস বলে মনে হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি কোণায় দীর্ঘা সময় নির্বাচনে পরাজিত হতে হতে ক্লান্ত বাম ক্যাডাররা ভুয়া ভিডিও, গুজবের মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং পরিবেশ অশান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। বিজেপি এই আন্দোলনে অর্থ যোগান দিচ্ছে। তাদের কর্মী কম — কিন্তু তারা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়ার মাধ্যমে অতিরঞ্জিত এবং নেতিবাচক প্রচার চালাচ্ছে।”