আইন ব্যবস্থার প্রতি কোনও আস্থাই নেই RSS-এর! বেনজির আক্রমণ সুপ্রিম কোর্টকে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বন্দ্ব চূড়ান্ত আকার নিয়েছিল। উল্লেখ্য, নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর কলেজিয়াম পদ্ধতি বদলের জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন। ২০১৪ সালে সরকার ‘ন্যাশনাল জুডিশিয়াল অ্যাপয়েনটমেন্টস কমিশন অ্যাক্ট’ প্রণয়ন করে সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টে বিচারপতি নিয়োগের নতুন বিধি নিয়ে আসে, যেখানে সরকার ও বিশিষ্ট নাগরিকদের ভূমিকা রাখা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট তা ২০১৫ সালে ‘অসাংবিধানিক’ বলে খারিজ করে দেন। সেই সঙ্গে ১৯৭৩ সালের রায়ের উল্লেখ করে বলেছিলেন, সংবিধান সংশোধনের অধিকার কেন্দ্রীয় সরকারের রয়েছে কিন্তু কোনও অবস্থাতেই সংবিধানের মৌলিক কাঠামোয় বদল আনা যাবে না। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট ও কেন্দ্রের সংঘাতে অন্য মাত্রা জারি করেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। তিনি বলেন, সংসদই সবার ওপরে। সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
এহেন পরিস্থিতিতে এবার বিবিসির তথ্যচিত্র নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকায় ক্ষোভপ্রকাশ করল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)। শুধু তা-ই নয়, সম্প্রতি তাদের মুখপাত্র ‘পাঞ্চজন্য’-এর একটি সম্পাদকীয় নিবন্ধে দাবি করা হয়েছে যে, ভারত-বিরোধী শক্তি সুপ্রিম কোর্টকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছে। বিবিসির তথ্যচিত্রটিও অসত্য তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি বলে দাবি তাদের।
মঙ্গলবার বিবিসির দিল্লি, মুম্বইয়ের দপ্তরে হানা দেয় আয়কর দপ্তর। তার আগের দিনই রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের মুখপত্র পাঞ্চজন্যের সম্পাদকীয়তে বিবিসির তথ্যচিত্রের সমালোচনা করা হয়েছে। মুখপত্রের সম্পাদকীয়র লেখক হিতেশ কুমার প্রশ্ন তুলেছেন সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকা নিয়েও। তাঁর দাবি, নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে তৈরি বিবিসির তথ্যচিত্রটি সম্পূর্ণ কল্পনাপ্রসূত ও মিথ্যা। ভারতের বদনাম করতেই এই তথ্যচিত্র।
কলেজিয়াম ব্যবস্থা-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সঙ্গে যখন সুপ্রিম কোর্টের মতপার্থক্যের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসছে, তখন শীর্ষ আদালতকে নিয়ে আরএসএস-এর এই ‘পর্যবেক্ষণ’কে গুরুত্ব দিয়েই দেখছেন অনেকে।