প্রায় দু’দশক ধরে কুলটিতে চলে আসছে শ্বেতকালী পুজো
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাংলা OTT-তে শ্বেতকালীকে নিয়ে একটি সিরিজ হয়েছে যা নিয়ে সমাজমাধ্যমে আলোচনা তুঙ্গে। আদৌ এরকম কোন দেবী সত্যি করি আছেন? আসলে কালী নামটা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে নৃমুণ্ডমালিনী, কৃষ্ণ বর্ণের উগ্রচণ্ডা দেবীর রূপ। আবার নীল বর্ণ রূপী শ্যামাকালীরও পুজো হয়। স্থানীয় বিশ্বাস, দেবী অত্যন্ত জাগ্রত।
পুরাণ মতে দেবী কালী হলেন মহামায়ার কালিকা শক্তিরূপ। অসুরদের অত্যাচারে যখন মানবকুল অতিষ্ঠ, চারিদিকে ধ্বংসের লীলা খেলা, তখন মহামায়া ভয়ঙ্কর ক্রোধ ধারণ করেন। সেই সময় তাঁর শরীর থেকে তীব্র জ্যোতি বের হতে থাকে। তখনই কালো রূপ ধারণ করেন মহামায়া, তাঁর সেই রূপকেই পুজো করা হয় কালী রূপে।
কিন্তু কখনও শুনেছেন কি শ্বেত বর্ণের কালী প্রতিমারও পুজো হয়?
পশ্চিম বর্ধমানের কুলটির লালবাজার এলাকায় ফলহারিণী কালীর রং শ্বেতশুভ্র। এই কালীপুজো নিয়ে নানা লোককথা ছড়িয়ে আছে। শুধুমাত্র গাত্র বর্ণ সাদা নয়, এখানে মায়ের রূপও সৌম্য।
শোনা যায়, ২০০৫ সালে এই পুজো শুরু করেন মন্দিরের প্রধান সেবাইত মধুময় ঘোষ। তিনি জানান, ‘বহু যুগ ধরে আমি কালীপুজো করে আসছি। দু’দশক আগে স্বপ্নাদেশ পাই। সেই নির্দেশ মেনেই বাঁকুড়ার শুশুনিয়া পাহাড় থেকে এই পাথরের মূর্তি নিয়ে আসি। তারপর থেকেই এই শ্বেতকালীর পুজো চলছে।’
কালী সাধক মধুময় নিত্য পুজো করেন। প্রতি অমাবস্যায় এই মন্দিরে বিশেষ পুজো হয়। তবে, প্রধান পুজো হয় জ্যৈষ্ঠ মাসে। আবার কার্তিক মাসে কালীপুজোর দিনেও শ্বেতকালী পুজো হয়ে থাকে।