জিএসটি ক্ষতিপূরণের অর্থ অন্যত্র ব্যবহার করেছে কেন্দ্র, ক্যাগের রিপোর্টে চাঞ্চল্য
ক্যাগের রিপোর্টে চাঞ্চল্য
অডিটের সময় দেখা গিয়েছে, স্টেটমেন্ট ৮,৯, ১৩ তে যে শুল্ক সংগ্রহের তথ্য রয়েছে আর তার অর্থমূল্য জিএসটি ক্ষতিপূরণ শুল্কের ফান্ডে যা গিয়েছে তাতে বড়সড় গরমিল রয়েছে। এরফলে ফান্ডের অর্থে কমতি দেখা যায়, যা শর্ট ক্রেডিটিং এর নামান্তর। এই ঘটনার জেরে ২০১৭ সালে জিএসটি কমপেনসেশন অ্যাক্ট ২০১৭ সালের হিসাবে সরকার আইন লঙ্ঘন করেছে বলে জানিয়েছে ক্যাগের রিপোর্ট।
জিএসটি ও আইন
জিএসটি কম্পেনসেশন সেস অ্য়াক্টের আইন অনুযায়ী, গোটা বছরে যে শুল্ক সংগৃহিত হবে তা রাখা হবে জিএসটি কম্পেনসেশন ফান্ডে। যে অ্যাকাউন্টটি পাবলিক অ্যাকাউন্ট হিসাবে পরিচিত। খুব নির্দিষ্টভাবে আইনে বলা রয়েছে যে, এই অ্যাকাউন্ট থেকে রাজ্যগুলিকে তখনই টাকা দেওয়া হবে যদি তারা তাদের রাজস্বে ঘাটতি পড়ে। উল্লেখ্য, কোভিড পরিস্থিতিতে সমস্ত রাজ্যই কার্যত কেন্দ্রের কাছে এই রাজস্বের বিষয়টি জানিয়ে ক্ষতিপূরণ ঘিরে দাবি দাওয়া জানিয়েছে। এরপরই নির্মলা সীতারমন সংসদে ওই বার্তা রাখেন। যারপর দেখা যাচ্ছে ক্যাগের রিপোর্টে এই ফান্ডে গরমিলের তথ্য।
সরকার যা করেছে
জিএসটি কম্পেনসেশন ফান্ডে সংগৃহিত শুল্ক না রেখে কেন্দ্র ‘কনসলিডেটেড ফান্ড অফ ইন্ডিয়া’ বা সিএফআইতে রাখে। যে ফান্ড থেকে অন্যত্র বহু ক্ষেত্রে সরকার টাকা খরচ করেছে বলে ক্যাগের রিপোর্টে ধরা পড়েছে। জানা গিয়েছে, ক্যাগের রিপোর্ট পাওয়ার পর অর্থমন্ত্রক বিষয়টির যথোপোযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে। পাশপাশি, যোগ্য জায়গায় আর্থিক ট্রান্সফারের বিষয়টিও নিশ্চিত করেছে কেন্দ্র।