নির্বাচন পরবর্তী হিংসায় জ্বলছে ওড়িশা! মৃত ৭, আহত ২৪
ভোট পরবর্তী হিংসায় তপ্ত পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী ওড়িশা।

ভোট পরবর্তী হিংসায় তপ্ত পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী ওড়িশা। সেখানের গঞ্জাম জেলায় শনিবার রাত থেকে শুরু হয়েছে হিংসা। এপর্যন্ত এই হিংসার জেরে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। রাজ্যে সর্বমোট ৬ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। আহত হয়েছেন ২৪ জন।
গঞ্জাম জেলার ৫৫ বছরের সুধীর পাত্র ও ৪৫ বছরের সুদর্শন শনিবার রাতে একটি অনুষ্ঠানবাড়ি থেকে ফিরছিলেন। সেই সময় তাঁদের পালাঝাড়ি গ্রামে ঘিরে ফেলে কয়েকজন দুষ্কৃতী। তারা বিজেডি সমর্থক বলে অভিযোগ। সেই সময় তাঁদের ওপর হামলা চালানোর পরই তাঁদের মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি রাজনৈতিক কি না তা নিয়ে চলছে তদন্ত। মনে করা হচ্ছে সুধীর ও সুদর্শনের মৃত্যু তাঁদের রাজনৈতিক শত্রুদের হাতে হয়েছে। উল্লেখ্য, ওড়িশায় পঞ্চায়েত ও পুরসভার ভোট শেষ হয়েছে গত মাসে। তবে তার পর হিংসার ছবি এখনও অব্যাহত। ভোট পরবর্তী হিংসায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ওড়িশার গঞ্জাম জেলা।
এর আগে ওড়িশার জয়পুর জেলায় ভোট জেতা বা হারা নিয়ে চলেছে ব্যাপক হিংসা। ওড়িশা ঢেঙ্কানালের পুরসভার চেয়ারম্যান জয়ন্ত পাত্রের বাড়ি লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছে বোমা। বিজেপির এই নেতার বাড়িতে বোমা ছোড়ার ঘটনা এই মাসের শুরুতেই হয়। এর আগে ১২ মার্চ গঞ্জামে, ১৫ এপ্রিল আংগুল জেলায় রক্তবন্যা বয়ে যায়। বহু জায়গায় কাঠগড়ায় যেমন দাঁড় করানো হয়েছে বিজেপিকে তেমনই শাসকদল বিজেডিও রয়েছে অভিযুক্তের অংশে। অংগুল জেলায় টাকা বিলিকে কেন্দ্র করে বিজেপি ও বিজেডি কর্মীদের মধ্যে তুমুল বচসা থেকে ঘটে যায় খুন। এদিকে ওড়িশার বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, ওড়িশা জুড়ে বিরোধীদের ক্ষমতা খর্ব করতেই এমন কাণ্ড ঘটানো হচ্ছে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক জ্ঞানরঞ্জন সাঁই বলছেন, ‘আগে রাজনৈতিক সংগঠনগুলি ওড়িশার রাজনীতিতে একটি মূল উপাদান ছিল, এখন অর্থ, পেশী এবং সহিংসতা একটি প্রধান ভূমিকা পালন করে। তরুণ প্রজন্ম মনে করে ক্ষমতায় ওঠার সবচেয়ে ভালো উপায় হিংসা।’ অধ্যাপক সত্যপ্রকাশ দাস বলছেন, ‘যেহেতু প্রার্থীরা নির্বাচনে জেতার জন্য বেশি অর্থ ব্যয় করছেন, তারা হেরে গেলে শুয়ে থাকতে পারবেন না।’