কৃষ্ণনগরে মোদীর জনসভার মাঠ ভরানো নিয়ে বিপাকে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব

শুধু কৃষ্ণনগর ও রানাঘাট সাংগঠনিক জেলাই নয়, নদীয়ার পার্শ্ববর্তী জেলা মুর্শিদাবাদ থেকেও লোক আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

February 29, 2024 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi
মোদীর জনসভা, ছবি সৌজন্যে: ANI

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: নরেন্দ্র মোদী নিজেই কৃষ্ণনগরে জনসভা করতে উৎসাহ দেখিয়েছেন। আরামবাগ, বারাসতের পাশাপাশি তাই মোদীর এ বারের সফরে জায়গা পেয়েছে ক্রমশ ‘সম্ভবনাময়’ হয়ে ওঠা কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র। বিজেপির দাবি অন্তত তেমনই।

২ মার্চ কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজের মাঠে জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। মাঠ ভরাতে লোক সংখ্যা বেঁধে দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। যা পূরণ করতে গিয়ে চিন্তায় পড়েছে গেরুয়া শিবির।

কৃষ্ণনগরে (Krishnanagar) মাঠে লোক ধরে ৮০ হাজার। কিন্তু সেই মাঠেই জমায়েত করতে হবে প্রায় দু’ লাখ মানুষকে। কৃষ্ণনগরে মোদির সভায় মাঠ ভরাতে লোক সংখ্যা বেঁধে দিয়েছে রাজ্য বিজেপি (BJP)। শুধু কৃষ্ণনগর ও রানাঘাট সাংগঠনিক জেলাই নয়, নদীয়ার পার্শ্ববর্তী জেলা মুর্শিদাবাদ থেকেও লোক আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ইতিমধ্যেই দফায় দফায় মাঠ পরিদর্শন করেছেন বিভিন্ন মহলের প্রতিনিধিরা। পাশাপাশি বিজেপি নেতৃত্বও বৈঠক করছে। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, কর্মী সমর্থকদের আনতে ছোট গাড়ি, বাস বুক করা হচ্ছে। পাশাপাশি ট্রেনে করেও সমর্থকদের আনবে নেতৃত্ব। সেই মতো মণ্ডল নেতৃত্বকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁদের নিজস্ব এলাকার তালিকা তৈরি করতে।‌

বিজেপির এক নেতার কথায়, শুধু কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার জন্যই ৭৫ থেকে ৮০ হাজার লোক আনার টার্গেট বেঁধে দিয়েছে রাজ্য নেতৃত্ব। পাশাপাশি রানাঘাট সংগঠনিক জেলা ও মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা মিলিয়ে আরও এক লক্ষ কুড়ি হাজার লোক আনার কথা বলে হয়েছে‌। অতীতে কৃষ্ণনগরের এই মাঠে বহু রাজনৈতিক সভা হয়েছে। বছর খানেক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মাঠেই সভা করেছিলেন। কিন্তু কখনওই জমায়েত এক লক্ষ ছাড়ায়নি। সব মিলিয়ে মাঠের সর্বোচ্চ ক্যাপাসিটি ৮০ হাজার। কিন্তু সেখানেই দু’লক্ষ জমায়েত করাতে উঠে পড়ে লেগেছে গেরুয়া নেতৃত্ব।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন